BJP-TMC

উত্তরবঙ্গের জন্য কেন্দ্রে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর দাবি বিজেপির, তৃণমূল বলল নাটক

বাংলার সেই পিছিয়ে পড়া অংশকে এগিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর দাবি করলেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। পাল্টা তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে বিজেপি বিধায়কের এই দাবি নাটক বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৪:২৫
Share:

গত বছর বিধানসভার অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো নিয়ে প্রস্তাব এনে আলোচনা হয়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পিছিয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ। তাই বাংলার সেই পিছিয়ে পড়া অংশকে এগিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর দাবি করলেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। পাল্টা তৃণমূল পরিষদীয় দলের তরফে বিজেপি বিধায়কের এই দাবিকে নাটক বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। শুক্রবার বাজেট অধিবেশনের পর্যালোচনা পর্বে বক্তৃতা করতে গিয়ে কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিধায়ক দাবি করেন, উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে পড়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা ছাড়া পিছিয়ে পড়া উত্তরবঙ্গকে এগিয়ে আনা সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারের উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো। সেই প্রতিনিধিদলে রাখা উচিত উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট থেকে নির্বাচিত অর্থনীতিবিদ বিধায়ক অশোক লাহিড়ী এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। পরে বিধানসভার বাইরেও বিজেপি বিধায়ক মিহির বলেন, “কংগ্রেসের ৩০ বছর, বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছর এবং তৃণমূলের ১২ বছরের শাসনকালে উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নয়ন হয়নি। অথচ উত্তরবঙ্গে আছে পাহাড়, নদী, চা বাগান-সহ বহু সম্ভাবনাময় বিষয়। তাই রাজ্যের উচিত উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের কাছে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো।”

Advertisement

মিহির যখন বিধানসভায় উত্তরবঙ্গে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর দাবি করছিলেন সেই সময় তাঁর কথার পাল্টা নিজেদের কথা বলতে চান পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল পরিষদীয় দলের উপ-মুখ্যসচেতক তাপস রায়। তাঁরা দাবি করেন, এ সব কথা বলে আসলে নাটক করছে বিজেপি। গত বছর বিধানসভার অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো নিয়ে প্রস্তাব এনে আলোচনা হয়েছিল। সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যৌথ ভাবে তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কেরা, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের দাবি নিয়ে দ্বারস্থ হবেন। রাজ্য সরকারের তরফে দায়িত্ব দেওয়া হয় শোভনদেবকে। তিনি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেছিলেন। বিরোধী দলের দাবি মেনে প্রস্তাবিত দাবি সনদ পাঠানো হয় বিরোধী দলনেতার দফতরে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজেপি পরিষদীয় দল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যৌথ ভাবে যেতে অস্বীকার করে।

সেই প্রসঙ্গ টেনেই মন্ত্রী শোভনদেব বলেছেন, “আমি সে বার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে কথা বলে সব কিছু ঠিকঠাক করেছিলাম। তিনি যে সব তথ্য এবং নথি আমাদের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছিলেন, তাও দিয়েছিলাম। তার পর আমাদের জানানো হল, বিরোধী দলনেতা তাঁর অবস্থান সংবাদ মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকেই জানতে পারি যে বিরোধীরা আমাদের সঙ্গে দাবিপত্র নিয়ে কেন্দ্রের কাছে যেতে রাজি নয়।” তিনি আরও বলেন, “আসলে বিরোধী দলে অনেক গোষ্ঠী। বিরোধী দলনেতা নিজে আগ বাড়িয়ে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে যেতে রাজি হলেও, অন্য গোষ্ঠীর নেতাদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলে যেতে অস্বীকার করেছেন।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement