হামিদুল রহমান এবং শঙ্কর ঘোষ। —ফাইল চিত্র
চোপড়াকাণ্ডে ‘ঘৃণাভাষণ’ দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান! এই অভিযোগ তুলে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর আর্জি, শাসকদলের বিধায়কের বিরুদ্ধে যাতে এফআইআর দায়ের করা হয়।
চোপড়ায় তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম ওরফে ‘জেসিবি’র বিরুদ্ধে এক তরুণ-তরুণীকে নিগ্রহের ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ওই ভিডিয়োটির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি। গোটা ঘটনা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। জাতীয় রাজনীতিতেও চোপড়াকাণ্ড নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, অভিযুক্ত তাজিমুল বিধায়ক হামিদুলের ‘ঘনিষ্ঠ’। তার প্রেক্ষিতে হামিদুল গোটা ঘটনা নিয়ে শুরুতে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তা নিয়ে আপত্তি তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন শঙ্কর। বিজেপি বিধায়কের দাবি, তৃণমূল বিধায়ক তাঁর বক্তব্যে ‘আমাদের মুসলিম রাষ্ট্র’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন।
পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে শঙ্কর লিখেছেন, ‘‘প্রশাসনের কাছে আমি জানতে চাই, তৃণমূল পরিচালিত শাসকদল কবে পশ্চিমবঙ্গকে মুসলিম রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করেছেন? বিধানসভার সদস্য হিসাবে আমি যত দূর জানি, ভারতের সংবিধানে কোথাও মুসলিম রাষ্ট্রের কথা বলা নেই।’’ রাজ্যে সম্প্রীতির পরিবেশকে নষ্ট করতেই এ ধরনের বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন শঙ্কর। তাঁর দাবি, ‘ঘৃণাভাষণ’ দেওয়ার জন্য তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনের যথাযথ ধারায় পদক্ষেপ করা হোক।
হামিদুল অবশ্য সোমবার সকালেই দাবি করেছেন যে, তিনি কোথাও ‘মুসলিম রাষ্ট্র’ শব্দবন্ধ ব্যবহারই করেননি। চোপড়াকাণ্ড নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘‘যা হয়েছে তা একদমই ঠিক হয়নি। আমি মেনে নিচ্ছি। ওই জায়গায় জাতপাত সংক্রান্ত সমস্যা হলে সালিশি সভা হয়। একে আমি বা আমার দল একদমই সমর্থন করি না। আমার নামে অপপ্রচার হচ্ছে যে, আমি নাকি বলেছি, ‘মুসলিম রাষ্ট্রে এই ধরনের ঘটনা ঘটে’। আমি ‘মুসলিম রাষ্ট্র’ কথা মুখেই আনিনি। বিরোধীরা আমার নামে অপপ্রচার করছে। আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে।’’