BJP MLA

বিজেপিতে আবার ঝটকা, এ বার অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন কোতুলপুরের বিধায়ক!

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:১৩
Share:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হরকালী প্রতিহার। —নিজস্ব চিত্র।

আবার বিজেপিতে ধস। এ বার তৃণমূল শিবিরে যোগ দিলেন বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির এই বিধায়ক। যদিও দলীয় বিধায়কের এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এতে দলের কিছু যাবে আসবে না। রাজনীতিতে সবার কাছে সব কিছু স্থায়ী হয় না। আসা-যাওয়া থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে, প্রলোভন না কি ভয় দেখানো, সেটা দেখতে হবে।’’

Advertisement

কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক যে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, পুজোর আগেই তা নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। যদিও হরকালী সেই জল্পনায় জল ঢেলে জানিয়েছিলেন, তিনি বিজেপিতেই থাকবেন। অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘অনেকে মিথ্যা রটনা করছেন।’’ কিন্তু জল্পনা সত্যি করে ঘাসফুল শিবিরেই যোগ দিলেন পদ্ম-বিধায়ক।

বস্তুত, বেশ কিছু দিন ধরে বাঁকুড়ায় বিজেপির মধ্যে প্রবল গোষ্ঠীকোন্দল প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। সম্প্রতি বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে বিজেপির জেলা সদর দফতরে তালা বন্ধ করে রাখেন বিজেপি কর্মীরা। প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে ছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। তার পরেও মন্ত্রী সুভাষ এবং বিজেপির জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির একাংশ। সুভাষ দলীয় সংগঠনে হস্তক্ষেপ করছেন এবং নিজের ঘনিষ্ঠদের সংগঠনের পদে বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপির নেতা এবং কর্মীদের একাংশ।

Advertisement

তৃণমূলের তরফে সমাজমাধ্যমে অভিষেকের সঙ্গে হরকালীর ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে। এই পদক্ষেপে জনগণের সেবা করা এবং মা-মাটি-মানুষের অটল আদর্শ আরও শক্তিশালী হল। বিজেপি বিধায়ককে ‘তৃণমূল পরিবারে’ আন্তরিক ভাবে স্বাগত জানিয়েছে ঘাসফুল শিবির। লেখা হয়েছে, ‘‘আমরা এক সঙ্গে বাংলার উন্নতির জন্য অক্লান্ত ভাবে হাতে হাত রেখে কাজ করার অঙ্গীকার করছি।’’

এ বিষয়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‘বাঁকুড়ায় এমনিতেই তৃণমূল ছিল না। তাই তৃণমূলের আরও ক্ষতিই হল।’’

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ২০০-র বেশি আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু, শেষমেশ ৭৭টি আসনে সন্তুষ্ট হতে হয় তাদের। নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার শান্তিপুর এবং দিনহাটা থেকে জয়ী হলেও বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ পদে বহাল থাকেন। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৫-এ। তার পর শুরু হয় দলবদল। মুকুল রায়, বিশ্বজিৎ দাসরা তৃণমূলে ফিরে আসেন। বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে শেষ দলত্যাগী ছিলেন সুমন কাঞ্জিলাল। তখন বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৯-এ। এ বার হরকালীর তৃণমূলে আসার পর বাংলায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৬৮-তে দাঁড়াল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement