বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য।
গোষ্ঠী সংঘর্ষে তেতে থাকা কালিয়াচকের গ্রামে যেতে দেওয়া হল না বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য ও তাঁর সঙ্গীদের। বুধবার দুপুরে ইংরেজবাজার থানার রথবাড়ি এলাকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তখনই শুরু হয় বচসা। শমীকবাবু পুলিশকে জানান, তাঁরা কালিয়াচকে গিয়ে কোনও মিটিং-মিছিল করবেন না। তিনি জানান, আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করেই তাঁরা ফিরবেন। কিন্তু, পুলিশের তরফে বলা হয়, ওই এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। ঘটনাচক্রে, ওই সময়ে কালিয়াচকে পৌঁছে যান রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি এন রমেশবাবু ও পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তখনই পুলিশের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানানো হয়, বিজেপির নেতা-কর্মীরা গেলে তা আরও বাড়তে পারে।
কিছু ক্ষণ বচসার পরে বিজেপি বিধায়ক-সহ প্রতিনিধি দলের ১৩ জনকে পুলিশের গাড়িতে তুলে ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ৪০ মিনিট সেখানে তাঁদের রাখা হয়। ওই সময়ে বিজেপি বিধায়কের কাছে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেন বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। শমীকবাবু বলেন, ‘‘হ্যাঁ, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ফোন করেছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে।’’ কী কথা হয়েছে তা অবশ্য বলতে রাজি হননি তিনি। এর পরে শমীকবাবু-সহ সকলকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিছু ক্ষণ পরে বিজেপির তরফে জানানো হয়, কালিয়াচক যাওয়ার কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, তিন দিন আগে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে কালিয়াচকে তুমুল গোলমাল হয়। উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে একটি গোষ্ঠীর লোকজন আক্রান্ত হন। থানায় গিয়ে আগুন ধরিয়ে পুলিশ ব্যারাকে লুঠপাট চালানো হয়। সেই থেকে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সে দিনের গোলমালের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আরও কয়েক জনকে খোঁজা হচ্ছে বলে পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন।