তিনিই সব ব্যবস্থা করে দেন।’’ ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘চালক ও ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
ফাইল চিত্র।
ইসলামপুর থেকে কবিগানের আসর সেরে বাড়ি ফিরছিলেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। সঙ্গে ছিল তাঁর গানের দল। সেখান থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে কানকি এলাকায় ঢোকার পরে গাড়িটি খারাপ হয়ে যায় বলে বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের এক ধারে এই গাড়িটিকে দাঁড় করিয়ে, অন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে তাতে মালপত্র তোলা হচ্ছিল। বিধায়কের সুরক্ষার জন্য সেখানে হাজির ছিলেন কানকি ফাঁড়ির কয়েক জন পুলিশকর্মী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের দাবি, সেই সময়ে কিসানগঞ্জ থেকে ডালখোলার দিকে যাচ্ছিল একটি ট্রাক, সেটি পরপর তিনটি গাড়িতে ধাক্কা দেয়। এই ঘটনায় বিধায়ক, চার পুলিশ কর্মী এবং বিধায়কের গানের দলের আরও ১০ জন জখম হয়েছেন। ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। চালককেও ধরেছে পুলিশ।
এই ঘটনাটি জাতীয় সড়কে বেপরোয়া যান চলাচলের বিষয়টিকে আবার সামনে নিয়ে এসেছে। ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, ‘‘অসীমবাবু ভাল আছেন। কিসানগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। তবে জাতীয় সড়কে নজরদরি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।’’ জখম পুলিশকর্মীদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
অসীম নিজেই জানান, ‘‘কানে, মাথায়, হাঁটুতে চোট পেয়েছি। ১৪টা সেলাই পড়েছে।’’ বিধায়ক আরও বলেন, ‘‘এই ঘটনাটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। ট্রাকের চালককে জিজ্ঞাসা করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। বলছি না যে আমাকে মারার জন্য এটা করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ বার বার বড় আলো জ্বেলে ফাঁকা রোডের অন্য দিক দিয়ে গাড়িগুলিকে যেতে বললেও এই ট্রাকটি কেন সোজাসুজি এসে ধাক্কা দিল, সেটাও খোঁজ নেওয়া দরকার।’’
স্ত্রী মধুমিতার সঙ্গে এর মধ্যেই কথা বলেছিলেন বিধায়ক। মধুমিতা সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন অসীম। সেখান থেকে ফিরেই তিনি গাড়ি নিয়ে ইসলামপুরের দিকে রওনা দেন। দু’দিন ধরে অনুষ্ঠান করে রবিবার রাত বারোটার পরে আবার সেখান থেকে ফেরার রাস্তা ধরেন। তার পরেই এই বিপত্তি। মধুমিতা বলেন, ‘‘ওই রাতেই রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে ফোন করে ঘটনাটি জানাই আমরা। তিনিই সব ব্যবস্থা করে দেন।’’ ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘চালক ও ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’