Hiran Chatterjee

Hiran Chatterjee: এ বার বিজেপি-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ

হিরণের ঘনিষ্ঠেরা খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি অন্য দলে যোগ দেবেন কি না বা তাঁর ক্ষোভ সাময়িক কি না, তা নিয়ে কেউ আলোকপাত করতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২২ ১১:২২
Share:

তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন টলিউড অভিনেতা হিরণ। —ফাইল চিত্র।

রাজ্য বিজেপি-র অন্দরে ‘মতুয়া-বিদ্রোহ’ চলতে চলতেই দলের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিলেন খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সকালে ওই খবর জানা গিয়েছে। টলিউড অভিনেতা হিরণ তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। গত বিধানসভা ভোটে তিনি খড়্গপুর থেকে নির্বাচিত হন। সম্প্রতি দলের একাংশের সঙ্গে তাঁর বিধানসভা এলাকায় তাঁর মতানৈক্য তৈরি হয়েছিল।

Advertisement

এই বিষয়ে বুধবার সকালে হিরণের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তাঁর মোবাইলে পাঠানো বার্তারও জবাব দেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, হিরণ বাস্তবিকই দলের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়েছেন। যদিও হিরণ অন্য কোনও দলে যোগ দিবেন কি না বা তাঁর এই ক্ষোভ সাময়িক কি না, তা নিয়ে কেউই কোনও আলোকপাত করতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলে থাকার সময় হিরণ মূলত যুব তৃণমূলের হয়েই কাজ করেছেন। তৎকালীন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল ছিল। কিন্তু তার পরে সেই সমীকরণে খানিকটা পরিবর্তন আসে। তার ফলস্বরূপই হিরণ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন বলে তখন তাঁর ঘনিষ্ঠেরা জানিয়েছিলেন।

Advertisement

জীবনে প্রথম বিধানসভা ভোটে লড়ে জয়ও পেয়েছিলেন হিরণ। খড়্গপুরে তৃণমূলের ডাকাবুকো প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটের পর থেকেই তাঁর সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তবে তাঁর দলের হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়াটা তারই ফল কি না, সেটা দলের লোকজন বলতে পারছেন না।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মতুয়া নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বিজেপি-র মতুয়া বিধায়কেরা হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। শান্তনু নিজেও তেমনই করেছেন। তারই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট ভাষায় টুইট করে জানিয়েছেন, তাঁর এবং বিজেপি-র আর পরস্পরকে প্রয়োজন নেই। অসমর্থিত সূত্রের খবর, শান্তনু-সহ মতুয়া বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। কিন্তু তাতে ক্ষোভের প্রশমন হয়েছে, এমন কোনও খবর নেই। এর মধ্যেই হিরণের গ্রুপ ছাড়লেন। যে বিষয়ে বিজেপি আরও অস্বস্তিতে পড়বে। এখন দেখার, এই ক্ষোভ-বিক্ষোভ কী করে সামাল দেন দলীয় নেতৃত্ব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement