ফাইল ছবি।
গত বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ সাত জন বিজেপি বিধায়ক নিলম্বিত (সাসপেন্ড) হয়েছিলেন। বাদল অধিবেশন শুরু হলেও তাতে অংশ নিতে পারছেন না তাঁরা। এ বার শুভেন্দুদের উপর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানাতে পারে বিজেপি পরিষদীয় দল। এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও করা হয়েছিল বিজেপির পক্ষে। তবে আদালত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে না চেয়ে সম্প্রতি দু’পক্ষের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। আদালতের সেই পরামর্শ যাতে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যকর করেন তার জন্য একটি প্রস্তাব বিধানসভায় আনতে পারে বিজেপি। বিজেপির পরিষদীয় দলের পক্ষে কিছু জানানো না হলেও হাওড়া-কাণ্ড তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার, শুভেন্দুকে বাধা দেওয়া নিয়েও হইচই করতে পারে বিজেপি।
গত শুক্রবারই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়। তবে সে দিন শোকপ্রস্তাবের পরেই অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। সে অর্থে সোমবারই প্রথম কাজের দিন। নবান্ন সূত্রে খবর, উপস্থিত থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মঙ্গলবারই তাঁর দিল্লি যাওয়ার সূচি রয়েছে। তার আগে সোমবার বিধানসভায় অল্প সময়ের জন্য হলেও যেতে পারেন তিনি।
একটা সময় পর্যন্ত বিজেপি পরিষদীয় দল ঠিক করেছিল বিরোধী দলনেতা-সহ বাকি বিধায়কদের নিষেধাজ্ঞা তোলা হচ্ছে তত দিন কেউই অধিবেশনে যোগ দেবেন না। পরে সিদ্ধান্ত বদল হয় বলে জানা গিয়েছে। দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, সোমবার পরিষদীয় দল অধিবেশনে যোগ দেবে।
আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চলবে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনেই গৃহীত হতে পারে বেশ কয়েকটি শিক্ষা বিল। সেই বিলগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিলটিও। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের বদলে শিক্ষামন্ত্রীকে ‘ভিজিটর’ নিয়োগের বিলটিও আনা হতে পারে এই অধিবেশনেই। বিজেপি আগেই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যে বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিরোধী দলের মুখ্য সচেতকের অনুপস্থিতিতে কী করে এমন গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি আনতে পারে সরকার পক্ষ।