আটকে থাকার সময় মেজাজ হারান শুভেন্দু।
কাঁথি থেকে বেরিয়ে হাওড়া যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। এই আশঙ্কায় তমলুকে আটকে দেয় পুলিশ। দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ চলে বিরোধী দলনেতার। শেষে বিকেল সওয়া তিনটে নাগাদ তাঁর পথ ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে হাওড়া নয়, পুলিশ জানিয়ে দেয় কোলাঘাট হয়ে কলকাতায় যেতে পারবেন শুভেন্দু। এর পরে কলকাতায় এসে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে তাঁকে বেআইনি ভাবে হাওড়া যাওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে বলে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন।
সকালেই কাঁথিতে তাঁর বাড়ি পুলিশ ঘিরে রেখেছে বলে অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। শনিবারই তিনি টুইট করে জানিয়েছিলেন হাওড়া জেলার উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় যাবেন তিনি। সেই কর্মসূচি উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন আশঙ্কায় রবিবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে রাধামণি মোড়ের কাছে শুভেন্দুকে আটকায় পুলিশ। শুভেন্দু জানতে চান, তাঁকে কেন যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ জানায়, তাঁরা জানতে পেরেছেন যে তিনি ‘অশান্ত’ হাওড়ায় যাচ্ছেন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রেখে তাঁকে সেখানে যেতে দেওয়া যাবে না। এটা শুনেই মেজাজ হারান শুভেন্দু। রীতিমতো বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
পুলিশের কাছে শুভেন্দু জানান, হাওড়া নয়, তিনি কোলাঘাট গেস্ট হাউসে যাচ্ছেন। তিনি এখন রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়নি। তাহলে এখানে কেন আটকানো হচ্ছে? যদিও তার পরেও রাস্তা ছাড়েনি পুলিশ। শুরু হয় চরম বাদানুবাদ। শুভেন্দু সেই সময় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথাও বলেন। সেই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ বলে কিছু নেই, সবই মমতা পুলিশ হয়ে গিয়েছে।’’ শুভেন্দু আটকে থাকায় তাঁর অনুগামীরাও জড়ো হন ওই এলাকায়। স্লোগান দিতে থাকেন। তাতে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। তাঁকে রাস্তায় আটকে দেওয়া নিয়ে আদালতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু।