মুকুল কি তবে ‘ম্লান’, বিজেপিতেই উঠছে প্রশ্ন

মুকুলবাবু লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে বিজেপিতে যোগদান করানোর পরেই দলের অন্দরে বিদ্রোহ দেখা দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:২৯
Share:

ছবি: পিটিআই।

এক সময়ে তিনি তুড়ি মেরে অন্য দল থেকে নেতা-কর্মীদের যোগদান করাতেন বিজেপিতে। কিন্তু এখন আর দলে তাঁর সে দিন নেই। এখন যে অন্য দল থেকে কাউকে যোগদান করানোর বিষয়ে তাঁর কথাই শেষ কথা নয়, তা কার্যত কবুল করে নিলেন মুকুল রায় স্বয়ং। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুলবাবু লোকসভা ভোটের ফল বেরনোর পরে দাবি করেছিলেন, তৃণমূল-সহ অন্য দলের ১০৭ জন বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে চান। বুধবার মুকুলবাবু বলেন, ‘‘ওই ১০৭ জনের তালিকা আমি অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং শিবপ্রকাশজিকে দিয়েছি। অমিত শাহজিকে বলেছি, এই তালিকার সকলে বিজেপিতে আসতে চান। এ বার আপনারা ঠিক করুন, কাকে নেওয়া হবে বা কাকে নেওয়া হবে না।’’ রাজ্য বিজেপির একাংশের ব্যাখ্যা, মুকুলবাবু দলে এখন কিছুটা কোণঠাসা বলেই অন্যদের যোগদানের বিষয়ে তাঁকে এ ভাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভরসায় থাকতে হচ্ছে।

Advertisement

মুকুলবাবু লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে বিজেপিতে যোগদান করানোর পরেই দলের অন্দরে বিদ্রোহ দেখা দেয়। যার জেরে মনিরুলকে দলের কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে নিষেধ করে দেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া পুরসভার কয়েক জন কাউন্সিলর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের চার জন সদস্য মুকুলবাবুর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ফের পুরনো দলে ফিরে যান। এই ঘটনাপ্রবাহের জেরে রাজ্য বিজেপিতে মুকুলবাবুর গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও মুড়ি-মিছরির মতো দলে যোগদানের হিড়িক নিয়ে কটাক্ষ করেন। দলের একাংশের মতে, এই সব কারণেই মুকুলবাবুকে এখন ১০৭ জন বিধায়কের তালিকা জমা দিয়ে আসতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।

মুকুলবাবু অবশ্য দাবি করেন, ‘‘আমি কখনওই অমিত শাহজিকে না জানিয়ে কাউকে দলে যোগদান করাইনি। এ বার সংখ্যাটা অনেক বেশি বলে তালিকা তৈরি করে তাঁকে জমা দিয়েছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement