কেন সিবিআই? ফাইল চিত্র।
ময়নাগুড়িতে বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে বাইরের চাপের মধ্যেই বিজেপি-র ভিতরে অস্বস্তি তৈরি করে দিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ফেসবুকে পোস্ট করে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে একেবারে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে বসলেন তিনি। রাজ্যসভায় বিজেপি-র সাংসদ রূপার মতে, এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত ‘জরুরি’।
সম্প্রতি দলবিরোধী একাধিক মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছেন রূপা। কিন্তু তিনি যে সরকারের প্রতিনিধি, তারই গাফিলতি খুঁজতে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি কেন? শুক্রবারই ময়নাগুড়ির ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বীন বৈষ্ণব। কী কারণে এমন দুর্ঘটনা, তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন অশ্বীন। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি সামগ্রিক ভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে।
এ ছাড়াও রয়েছেন রেল বোর্ডের ডিজি (সেফটি)। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল কি না, রেললাইনে কোনও সমস্যা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখবেন তিনি।
এ সবের মধ্যেই রূপা বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে লিখে বসেন, ‘ট্রেন কি নিজে নিজেই বেলাইন হয়? রেল লাইন কি বেচারা বোঝে, ভাই সামনে নির্বাচন, রেল নিয়ে অনেক বছর কোনও বাজে খবর হয়নি। মানুষের প্রাণ নিয়ে ছেলেখেলা।’ এর পরেই রূপার সংযোজন ‘সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন।’
কিন্তু রেলের এই উদ্যোগের মধ্যেই রূপা সিবিআই তদন্ত চাইছেন কেন? এই প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার রূপা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘কেন দুর্ঘটনা হয়েছে তার নিরপেক্ষ তদন্ত প্রয়োজন। আমি কেন্দ্রের সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলছি না। আমি মনে করি, রেলের স্বার্থেই নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। স্পষ্ট হয়ে যাওয়া উচিত, ঠিক কী কারণে এত বড় দুর্ঘটনা হল। কার ভুলে এমন পরিণতি। আমি মনে করি রেলমন্ত্রক বা রেলমন্ত্রী কোনও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী হন না। এর পিছনে কারও না কারও গাফিলতি রয়েছে। সেটা তদন্ত করে দেখা উচিত।’’
রেল তো ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। সেই তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার আগে সিবিআই তদন্ত কেন চাইছেন তিনি? রূপা বলেন, ‘‘একেবারে ঘটনাস্থলে কার গাফিলতি রয়েছে সেটা জানতে নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। সেই কারণেই সিবিআই দরকার। রেলের রিপোর্টের থেকে মানুষ বেশি ভরসা করবে সিবিআই তদন্তের রিপোর্টে।’’ পাশাপাশিই রূপা বলেন, ‘‘শুধু বাংলা নয়, বিজেপ-শাসিত রাজ্যেও কোনও বড় দুর্ঘটনা হলে সিবিআইকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করা দরকার। কারণ, রেল একই সঙ্গে অনেক রাজ্যের মধ্য দিয়ে সফর করে। অনেক মানুষের বাঁচামরা নির্ভর করে রেলের উপরে।’’