শুক্রবার ভোরেও চলছে উদ্ধারকাজ। ফাইল চিত্র।
মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে জয়পুরের কর্মস্থল থেকে কোচবিহারের বাড়ি ফিরছিলেন রঞ্জিত বর্মন। দুর্ঘটনার ১০ মিনিট আগেও পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথাও বলছিলেন। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই। দুর্ঘনার খবর পেয়ে পরিবারের লোক ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। বিভিন্ন জায়গা খুঁজেও মেলেনি রঞ্জিতের হদিস।
রঞ্জিতের ভাই প্রদীপ শুক্রবার সকালে জানান, ময়নাগুড়ির অদূরে লাইনচ্যুত বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের এস-৫ কোচের যাত্রী ছিলেন রঞ্জিত। তিনি বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার ১০ মিনিট আগেও দাদার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল আমার। তার পরে আর ফোর ধরেনি। মালবাজারের এক পরিচিতের কাছে দুর্ঘটনার খবর শুনি।’’
বৃহস্পতিবার রাতেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান প্রদীপ এবং তাঁর আর এক আত্মীয়। কিন্তু রাতভর খুঁজেও দাদার সন্ধান পাননি। ভোরে ময়নাগুড়ির হাসপাতালে যান তিনি। প্রদীপ বলেন, ‘‘ময়নাগুড়ি হাসপাতালে এক জনের মৃতদেহ ছিল। কিন্তু দাদাকে খুঁজে পাইনি। এর পর থানায় যেতে আমাকে বলা হয় জলপাইগুড়ি হাসপাতালে খোঁজ নিতে।’’
জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৬ জন আহতের মধ্যেও রঞ্জিতের খোঁজ পাননি প্রদীপ। তাই দাদার খোঁজে তিনি মর্গে গিয়েছেন। সেখানে তারই মতো উৎকণ্ঠার প্রতীক্ষায় আরও কয়েক জন নিখোঁজের পরিজন। তাঁদেরই এক জন অতনু রায়। কোচবিহারের সিঙিমারির এই বাসিন্দার ভাই মঙ্গল রায়ও বাড়ি ফিরছিলেন বিকানের থেকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তাঁর আর খোঁজ মেলেনি।