—প্রতীকী ছবি।
সন্দেশখালি-কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবি তুললেন বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশে নারীনিগ্রহের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে পাল্টা বিঁধেছে বাংলার শাসকদল।
সন্দেশখালির ঘটনায় গোড়া থেকেই দিল্লিতে সরব রয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি গত কাল মুখ খোলার পরে আজ ফের সন্দেশখালি-কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সরব হন বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আজ বলেন, ‘‘সন্দেশখালির ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৌন দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছেন। মহিলাদের উপর অত্যাচার ও নিগ্রহের কারণে যখন কোনও তৃণমূল নেতা অভিযুক্ত হন, তখন সেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে মহিলাদের সম্মানরক্ষার বিষয়টি আদৌ গুরুত্ব পায় না প্রশাসনের কাছে।’’ ভাটিয়ার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে কার্যত জঙ্গলরাজ চলছে। যেখানে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও মহিলাদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। ভাটিয়া বলেন, ‘‘এমন মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া উচিত।’’
বিজেপিকে পাল্টা নিশানা করে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘দেশে সর্বাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানায়। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র। তফসিলিদের বিরুদ্ধে অপরাধ উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ। অপহরণ, শিশু নিগ্রহের ঘটনা সব থেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। আর এই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের।’’ সাংবাদিক বৈঠকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা টেনে বিএসএফ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুষেছেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, ‘‘ওই মৃত্যুর জন্য কেন বিএসএফের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হবে না? কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ঘটনার জন্য পদত্যাগ করবেন না?’’
আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপরে হামলার ঘটনাটির সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা শাহজাদ পুনেওয়ালা। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল মানে এখন বোঝায় তালিবান মানসিকতা। আগে তৃণমূল বলতে বোঝাত, মা-মাটি-মানুষ। এখন তৃণমূল বলতে বোঝায় বন্ধ, বলৎকার (ধর্ষণ) এবং বোমা।’’