উলুবেড়িয়ার উড়ালপুলে গাড়ি থামালেন শুভেন্দু। নীচে বিজেপি কর্মীরা। টুইটার
রবিবার হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় যেতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের বাধায় গাড়ি থমকে যায় তমলুকেই। পরে কলকাতায় চলে আসেন শুভেন্দু। কিন্তু রবিবার কলকাতায় আসার পথে উলুবেড়িয়ায় চলে যান তিনি। নিজেই টুইট করে সেই দাবি করেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের আক্রমণে ভেঙে যাওয়া উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় জেলা পার্টি অফিস দেখতেই গিয়েছিলেন তিনি। লিখেছেন, ‘বিজেপির জেলা সভাপতি অরুণ পালচৌধুরী-সহ অন্যান্য কার্যকর্তার সঙ্গে সেতুর উপর থেকেই কথা বললাম। কারণ, পুলিশ এলাকায় ঢোকা ও বের হওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে।’
শুভেন্দু টুইটে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, গাড়ি নিয়ে তিনি সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। নীচে রাস্তায় বিজেপির পতাকা হাতে কয়েক জন কর্মী। গাড়ির জানলা থেকে মুখ বার করে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে এর বদলা আমরা নেব।’’ তাঁকে যে অনেক চেষ্টা করে পুলিশ উলুবেড়িয়া যাওয়া থেকে আটকাতে পারেনি সেটাও উল্লেখ করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘‘আটকাতে পারবে না, আটকাতে পারল না।’’ সেতুর নীচে থাকা কর্মীরা স্লোগান তুলতে থাকেন।
প্রসঙ্গত, নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে গত কয়েক দিন অগ্নিগর্ভ ছিল হাওড়ার বেশ কিছু অঞ্চল। শুক্রবার বিকেলে রাজ্য বিজেপি দাবি করে, উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় দলের কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। শনিবার সেখানে যেতে চাইলে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে দিনই শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, রবিবারে তিনি যাবেন হাওড়ার ওই এলাকায়। কিন্তু রবিবার তাঁকে তমলুকেই আটকে দেয় পুলিশ। দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ চলে বিরোধী দলনেতার। শেষে কলকাতায় আসেন শুভেন্দু। তাঁকে ‘বেআইনি ভাবে’ হাওড়া যাওয়ায় বাধা দেওয়া হয়েছে বলে রবিবার রাজ্যের মুখ্য সচিবকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন শুভেন্দু।