বিধানসভায় অবস্থানে শুভেন্দু অধিকারীরা। নিজস্ব চিত্র।
সাত বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি জানান, বিজেপির আনা জোড়া প্রস্তাবে একাধিক ভুল রয়েছে। তাই তা গ্রহণ করা যাবে না।
সোমবার দুপুরে এ নিয়ে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয় বিধানসভায়। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, প্রস্তাবে কোনও ভুল নেই। কিন্তু তিনি সকালেই খবর পেয়ে গিয়েছিলেন, সাত বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন গৃহীত হবে না। কারণ, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নাকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিধানসভার বাইরে সিঁড়ির উপর এক এক করে বসে পড়েন সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি বিধায়করা।
সাসপেনশনের বিরুদ্ধে বিধানসভার দরজার সামনে চার বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, নরহরি মাহাতো, মিহির গোস্বামী এবং শঙ্কর ঘোষ স্লোগান তোলেন। প্রসঙ্গত, বিধানসভার গ্রীষ্মকালীন অধিবেশনে হট্টগোল হয়েছিল। এমনকি, শাসক এবং বিরোধী বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু-সহ ৭ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর প্রতিবাদে বিধানসভার বাদল অধিবেশন বয়কট করে বিজেপি। সাসপেনশনের বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টেও যান বিজেপি বিধায়করা। শুনানিতে আদালত জানায়, বিধানসভার রীতি মেনে বিধায়কদের সাসপেনশনের বিষয়টির সুরাহা হোক। তার পরই জোড়া প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় যায় বিজেপি। কিন্তু তা প্রত্যাহার করতেই শুরু হয় বিক্ষোভ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ