শুভেন্দু অধিকারী এবং কুণাল ঘোষ। — ফাইল চিত্র।
উৎসবের আবহে আবার তরজায় রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
বুধবার দুপুরে কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের আয়োজনে রামমন্দিরের আদলে নির্মিত পুজো মণ্ডপ ঘিরে দর্শনার্থীদের উন্মাদনার ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেছিলেন শুভেন্দু। লিখেছিলেন, ‘‘তোলামূলীরা ভাববেন না এই ভিডিয়োটি উত্তরপ্রদেশ বা বিহারের। এটা আমাদের পশ্চিমবঙ্গের। গতকাল সন্ধ্যায় মা দুর্গার বিসর্জনের শোভাযাত্রায় এই ধরনের দৃশ্য বাংলা জুড়ে দেখা গিয়েছে। ভগবান রামকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সমস্ত আয়োজকদের ধন্যবাদ। বাংলা ঠিক রাস্তাতেই রয়েছে। জয় শ্রীরাম।’’
শুভেন্দুর ওই পোস্টের প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে ‘জবাব’ এল কুণালের তরফে। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঠিকই বলেছেন, দৃশ্যটা উত্তরপ্রদেশের নয় বাংলার। এখানে মানুষের বাক্স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের পরিবেশ রয়েছে। অবাধে নিজেদের ধর্মপালন এবং প্রচারের অধিকার রয়েছে। যা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নেই। বাংলায় আমরা মনে করি, ধর্মবিশ্বাস ব্যক্তিগত কিন্তু উৎসব সর্বজনীন। রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়ার জন্য আমরা আমাদের উৎসবে সাম্প্রদায়িকতার রং চড়াই না।’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এ বারের দুর্গোৎসবের গোড়া থেকেই ‘অশুভ’, ‘বিনাশ’, ‘অসুর’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু-সহ বিজেপির রাজ্য এমনকি জাতীয় স্তরের নেতারাও। রবিবার কাঁথিতে একটি পুজোমণ্ডপের সামনে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘আগের অসুর ধ্বংস হয়েছে। এখনকার অসুরও ধ্বংস হবে!’’ যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন কুণাল। তার আগে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধনে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, বাংলা যাতে ‘দুর্নীতি ও অত্যাচার’ থেকে মুক্ত হয়, সেই প্রার্থনা তিনি করেছেন। অযোধ্যার নির্মীয়মাণ রামমন্দিরের আদলে তৈরি ওই মণ্ডপ পরিদর্শনে এসে শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বলেছিলেন, “যাঁরা ভাই-ভাতিজা করে, দুর্নীতি, অন্যায়, অত্যাচারের পথ নিয়েছে, তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক!’’