মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে এবং শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তাঁর বিধায়ক, সাংসদ ও রাজ্যের মন্ত্রী হওয়া। গত বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে চলে যাওয়া সেই শুভেন্দু অধিকারীই এ বার প্রাক্তন দলনেত্রী মমতাকে ‘নিকৃষ্টতম রাজনৈতিক প্রাণী’ বলে অভিহিত করলেন। এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ তৃণমূল পাল্টা আক্রমণ করেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে।
বৃহস্পতিবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে বিজেপির আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে এসেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া ত্রিপল চুরির মামলার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘জীবনে কয়েক লক্ষ ত্রিপল বিলি করেছি। আর বলছে ত্রিপল চুরির কথা। এই স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছেন। একটা নিকৃষ্টতম রাজনৈতিক প্রাণী। মিথ্যা ছাড়া সত্যি বলেন না। যাবতীয় দুর্নীতির জীবাণু ওঁর শরীরে ঢুকেছে।’’ নন্দীগ্রামের যে মহিলারা তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, একদিন তাঁরা মমতাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাবেন বলেও দাবি করেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর অতীত মনে করিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেন, ‘‘রাজনীতিতে জন্মদাত্রী মাকে অস্বাকীর করছেন। ওঁর মতো কুলাঙ্গার সন্তান খুব বেশি দেখা যায় না। গোটা পরিবার যাঁর জন্য প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে আঙুল তুলে আসলে নিজেকেই পাঁকে জড়িয়ে ফেলছেন।’’
পঞ্চায়েতগুলিতে একশো দিনের কাজের প্রকল্প তৃণমূলের চুরির উৎস বলে ও এ দিন অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের চুরির পুরো উৎস এবং সাপ্লাই লাইন হচ্ছে একশো দিনের কাজ। একশো দিনের কাজ থেকে কোটি কোটি টাকা মারছে। জেলার সব পঞ্চায়েত আমার হাতের তালুর মতো। আইবিএসের (ইন্ডিভিজুয়াল বেনিফিট স্কিম) নামে কেউ গরু কেনেনি, পান বরজ করেনি। সব টাকা ঝেড়েছে।আমি চার্জশিট রেডি করছি। তৃণমূলের কত লোক শুধু তার ফ্যামিলির চাকরি নিয়েছে, আমি সব জানি। এদের পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত আমি জানি।’’ দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ‘‘পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দিন। তবে ভাঙচুর করবেন না। কারণ ওগুলো সরকারি সম্পত্তি। ২০২৩ সালে ভোটের পর পঞ্চায়েতগুলি আপনাদেরই চালাতে হবে।’’
বিজেপি বিধায়ক-নেতাদের একাংশের দল ছাড়াকে অবশ্য গুরুত্ব দেননি বিরোধী দলনেতা। তাঁর মতে এতে বিজেপির ক্ষতিবৃদ্ধি হবে না।