মোদীকে চিঠি পাঠাবেন শুভেন্দু। ফাইল চিত্র
কলকাতায় বর্ষার জমা জল ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তা মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো চিঠির পাল্টা। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, ডিভিসি-র জল ছাড়া নিয়ে যে অভিযোগ রাজ্যের তরফেতোলা হয়েছে তা অসত্য। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ডিভিসি-র নামে যেটা বলছেন সেটা অসত্য। আমি কয়েক মাস সেচমন্ত্রী ছিলাম। ডিভিসি-র স্টেকহোল্ডার তো রাজ্য সরকারও।’’ তৃণমূলের পক্ষে এর বিরোধিতা করেছেন দলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘উনি তো কেন্দ্রের মন্ত্রী নন। এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য কে দায়ী সেটা সবাই জানে।’’
বুধবারই মোদীর সঙ্গে ফোনালাপে ডিভিসি-র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতিকে ‘ম্যান মেড’ বলেন মমতা। প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়ে সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে সুরাহাও চেয়েছেন তিনি। চিঠিতে তিনি জানান, ডিভিসি-র ইচ্ছে মতো জল ছাড়ার কারণেই ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ সালের পর আবার এই বছর রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল। মমতার সেই অভিযোগের পাল্টা বক্তব্যে রাজ্যকেই দায়ী করেছেন শুভেন্দু।২৭ জুলাই ডিভিসি রাজ্যকে সতর্ক করেছিল দাবি করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ডিভিসি-র মনিটরিং কমিটিতে সেচ দফতরের সচিব আছেন। ওয়েস্টার্ন সার্কলের চিফ ইঞ্জিনিয়র আছেন।’’ ডিভিসি সতর্ক করার পরেও রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়নি বলে অভিযোগ তুলে শুভেন্দু প্রশ্ন তোলেন, ‘‘সেচ দফতর কোথায় মাইকিং করেছে? খানাকুল, আমতা, উদয়নারায়ণপুর, পুড়শুড়া, ঘাটাল কোথায় আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে?’’
বুধবার মোদীকে মমতার চিঠি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমিও প্রধানমন্ত্রীকে একটা চিঠি লিখছি। বন্যা, জল দুর্ভোগ নিয়ে জানাব। কলকাতা ও বিধাননগরে রাজ্য ‘দুয়ারে নর্দমার জল’ প্রকল্প চালু করেছেন। এর জন্য দায়ী এই রাজ্যের অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী।’’