ভবানীপুরে রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে ‘অক্ষত’ চাল বিলি করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরে উদ্বোধন। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে যে মুহূর্তে হাজরা থেকে সংহতি মিছিলের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে এসে রামমন্দির উদ্বোধনের আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে ‘অক্ষত’ চাল বিলি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় এসে কর্মসূচি করে গেলেন তিনি।
বিকেল ৪টের কিছু পরে হাজরা মোড়ে আসেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। প্রায় মিনিট ২০ সেখানে থেকে প্রায় ৩০-৩৫টি দোকানে গিয়ে সেখানে হাজির দোকানদার ও স্থানীয় জনতার হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। আগামী মঙ্গলবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে তাঁদের সকলকে বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বলে দেওয়া কর্মসূচি পালন করতে। বলেন, ওই দিন অযোধ্যায় না গিয়ে বাড়িতে বাড়িতে পাঁচটি করে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালাতে। দক্ষিণ কলকাতা বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, বিরোধী দলনেতার এই কর্মসূচি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তরফে বিরোধী দলনেতা সামাজিক অনুষ্ঠানে শামিল হতে এসেছিলেন। যদিও, কর্মসূচি পালনের সময় দক্ষিণ কলকাতা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ খটিক-সহ বিজেপি কর্মীরা শুভেন্দুর সঙ্গেই এই কর্মসূচি পালন করেন।
ঘটনাচক্রে যেখানে এই বিরোধী দলনেতা আমন্ত্রণপত্র বিলি করেন, তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি সেই ওয়ার্ডেই। সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবার মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতার এমন কর্মসূচির পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যা বলছেন এবং বিষ ছড়াচ্ছেন। বিজেপির রাজনীতিটাই হচ্ছে রোটি, কপড়া ও মকানের উন্নয়নের যে ব্যর্থতা তার থেকে নজর ঘোরাতে ধর্মের নামে মেরুকরণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২২ তারিখে সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছেন, বাংলার ঐতিহ্য মেনে। তাঁকে কলুষিত করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিষ ঢালার জন্য প্ররোচনা দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। আমি পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করব, এই প্ররোচনাদাতার উপর কড়া নজর রাখুন। দরকার হলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে কুণালের অনুরোধ, এই ব্যক্তিকে যেন কোনও ভাবেই তিনি প্রশয় না দেন।