শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে এর আগে একাধিকবার তারিখ দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার লোকসভা নির্বাচনেরও সম্ভাব্য সূচির কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। এর আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, মাস ছয়েকের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচন হবে। শনিবার মহিষাদলে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে শুভেন্দুর দাবি, ফেব্রুয়ারির শেষে লোকসভা নির্বাচন হয়ে যাবে। যদিও শুভেন্দুর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম।
রাজ্যের দুর্নীতি প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু বলেন, “নিয়োগ পরীক্ষার ফর্ম বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর থেকে ৫০০ টাকা করে নিয়ে ২৭ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। পরীক্ষা ডিসেম্বরে।’’ তারপরই তিনি বলেন, ‘‘এই পরীক্ষা বাবদ দুই কোটি টাকা খরচ হবে। রেজ়াল্ট তো বেরোবে না। ফেব্রুয়ারির শেষে লোকসভা নির্বাচন হয়ে যাবে। বাকি টাকা অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের চাকরি বাঁচাতে আদালতে খরচ করবে রাজ্য সরকার।”
কেন ভোট এগিয়ে আসার কথা বলছেন, বিরোধী দলনেতা অবশ্য তার কোনও ব্যাখ্যা এ দিন দেননি। কিছু দিন আগে অবশ্য একই রকম সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যদিও সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি নেতৃত্ব এই দাবিকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে তখনই তা নাকচ করে দেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রের একটি সূত্র মনে করছে, যদি একান্তই ভোট এগোনোর কোনও সিদ্ধান্ত হয়, তা হলে ভোট হতে পারে মার্চ মাসে। কারণ, জানুয়ারি মাসে রামমন্দির উদ্বোধনের ঘোষণা রয়েছে।আর ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রের অন্তর্বর্তী বাজেট হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারিতে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে মাত্র।
শুভেন্দুর দাবিকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু তো এ রকম বলেই থাকেন। লোকসভা নির্বাচন হলে হবে। আমরা আর এক ধাপ এগিয়ে বলছি, লোকসভা নির্বাচন হলেই বিজেপি হারবে।”
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “কবে লোকসভার ভোট হবে সেটা বলার অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে? বলতে পারেন মোদী-শাহ। রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পরেই ফেব্রুয়ারি মাসে তড়িঘড়ি লোকসভার ভোট করে দিতে পারেন মোদী। এই জন্যই কিবলা হচ্ছে?”