মুকুলকে আক্রমণ শুভেন্দুর। নিজস্ব চিত্র
মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ নিয়ে একের পর এক বিতর্ক চলছে। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবস কর্মসূচির দিনেও সেই বিতর্ক সামনে এল। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুকুল। পাশে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই ছবিই টুইট করে মুকুলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই দিনে, প্রায় একই সময়ে বিজেপি-র ‘গণতন্ত্র বাঁচাও, পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও’ কর্মসূচির মঞ্চে তাঁর উপস্থিতির ছবি দিয়ে শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘কোন মঞ্চে দেখা যাচ্ছে পিএসি চেয়ারম্যানকে?’
বিরোধী দলের বিধায়ককে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান করাই রীতি। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুলকে ওই গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যান করেছেন। তৃণমূলের বক্তব্য, মুকুল খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক হওয়ায় রীতি ভাঙা হয়নি। আর তাতেই আপত্তি বিজেপি-র। দলের বক্তব্য, বিজেপি-র টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিধায়ক হলেও মুকুল তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই তিনি কোনও ভাবেই বিরোধী দলের বিধায়ক নন।
গত ১১ জুন মুকুল তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পর থেকেই সরব শুভেন্দু। মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরের দাবিতে তিনি স্পিকারকে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়করে কাছেও অভিযোগ জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও দরবার করার কথা জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এ নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন শুভেন্দু। বিধানসভার যে আটটি কমিটির চেয়ারম্যান পদ বিজেপি পেয়েছিল, মুকুলের পিএসি চেয়ারম্যান পদ পাওয়ার প্রতিবাদে সেগুলি থেকেও সংশ্লিষ্ট বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছেন। এই আবহে বুধবার তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের দুই মঞ্চের ছবি টুইট করে শুভেন্দু ফের প্রমাণ করতে চাইলেন যে, মুকুল আসলে তৃণমূলেই। প্রসঙ্গত, বুধবার তৃণমূলের মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য রাখেননি মুকুল।