টুইটে আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। ফাইল চিত্র
কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বাংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের উল্লেখ ছিল। এ বার রাজ্য সরকার পরিচালিত ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে জায়গা পেয়েছে তৃণমূল সরকারের কয়েকটি প্রকল্প। ইউপিএসসি-র মতো ডব্লিউবিসিএসপরীক্ষার প্রশ্নপত্রে এমন ‘রাজনৈতিক’ প্রসঙ্গ আসা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বার তাতে অন্য সুরে আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর দাবি, প্রথম ক্ষেত্রে বাংলার বিশিষ্টজনরা প্রতিবাদে সরব হলেও এ বার চুপ করে রয়েছেন। শুভেন্দুর এই আক্রমণ প্রসঙ্গে তৃমমূল সাংসদ সৌগত রায়ও টেনে এনেছেন ইউপিএসসি-র প্রশ্নপত্র প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের ওই পরীক্ষায় তো ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের কথা বলা হয়েছে। তা নিয়ে তো উনি কিছু বলেননি।’’
রবিবার হওয়া ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় দু’টি প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। প্রশ্নপত্রের ৪১ নম্বর প্রশ্নটি ছিল, ‘গত ১০ বছরে পশ্চিমবঙ্গে কতগুলি নতুন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ চালু হয়েছে?’ ৪৩ নম্বর প্রশ্নটি ছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সবুজসাথী প্রকল্পে সরকারি/সরকারপোষিত/মাদ্রাসা/বিদ্যালয়ের কোন শ্রেণিতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের সাইকেল বিতরণ করা হয়?’ প্রশ্নপত্রের ওই অংশের ছবি টুইট করে সোমবার শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘ইউপিএসসি পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অনেকেই সরব হয়েছিলেন। কিন্তু এখন দেখা যাক ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কিছু নিজস্ব প্রকল্পের বিজ্ঞাপন করাকে ছদ্ম বিশিষ্টজনেরা কী ভাবে বদলে দেন।’
প্রসঙ্গত ওই প্রশ্নপত্রের আরও একটি অংশ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একটি প্রশ্ন ছিল, ‘কোন বিপ্লবী নেতা জেল থেকে মার্সি পিটিশন (ক্ষমা প্রার্থনা) করেন?’ সঠিক উত্তর বাছার জন্য চারটি নাম দেওয়া হয়। তাতে ‘ভি ডি সাভারকর’, ‘বি জি তিলক’, ‘শুকদেব থাপার’ ও ‘চন্দ্রশেখর আজাদ’-এর নাম ছিল। রবিবারই এ নিয়ে সরব হন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘সাভারকর কখনও মুচলেকা দেননি। মুচলেকা দিয়েছিলেন উৎপল দত্তরা। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন করা হয়েছে।’’ শুভেন্দু টুইটে অবশ্য সে প্রসঙ্গ টানেননি। রবিবারই এই প্রশ্নপত্র নিয়ে বিতর্ক থেকে দলের দূরত্ব স্পষ্ট করে তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘‘যাঁরা প্রশ্ন তৈরি করেছেন ও পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের এই প্রশ্ন করা উচিত। আমাদের নয়।’’