পার্থ-কাণ্ড প্রসঙ্গে কী বলতে চাইলেন সুকান্ত? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে জোর তৎপরতা দেখাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই তৎপরতা আরও বাড়বে বলে বৃহস্পতিবার ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘সবে দু’টি এপিসোড দেখা গিয়েছে। এখনও অনেক বাকি। অনেক লম্বা হবে ওয়েব সিরিজ। পরের এপিসোডগুলি আরও রোমহর্ষক হবে।’’ সুকান্তের ইঙ্গিত, আরও অনেক জায়গা থেকেই নগদ টাকা, সম্পত্তি উদ্ধার হবে।
বুধবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সুকান্ত। তারই প্রেক্ষিতে কি তিনি এই মন্তব্য করলেন? সুকান্ত বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমায় কী বলেছেন সেটা আমি বলব না। কিন্তু এটা আমার কথা। ইডি তদন্তে নামার সঙ্গে সঙ্গেই যা তথ্য পেয়েছে, এক জন মন্ত্রীর থেকেই যে পরিমাণ সম্পত্তি উদ্ধার হচ্ছে তা থেকেই স্পষ্ট যে এই দুর্নীতির সঙ্গে অনেকে যুক্ত। আমরা চাই সবার জেল হোক। আর সেটা হবেও।’’
শিক্ষক নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে ধর্মতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সেখানেই যোগ দেন সুকান্ত।কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে আগেই জানা গিয়েছে যে, এখন পশ্চিমবঙ্গে কয়লা, গরু, বালি পাচার বা ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে তদন্ত চললেও শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বেশি তৎপর হবে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি। কারণ, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই বিষয়টির অভিঘাত অনেক বেশি। বৃহস্পতিবার সুকান্তের গলায় যেন সেই ইঙ্গিতই পাওয়া গেল। গত মঙ্গলবার অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনিও এই তদন্ত যাতে আরও জোর দেওয়া হয় সে ব্যাপারে শাহের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই দুর্নীতিতে যুক্ত অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের এমন ১০০ জনের তালিকাও জমা দিয়েছেন বলে জানান সংবাদমাধ্যমকে। শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘১০০-র বেশি বিধায়ক এবং তৃণমূলের তোলাবাজের নাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েছি। যাঁরা গোটা বাংলায় টাকা তোলার র্যাকেট চালান। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে গ্রিন করিডর বানিয়ে ভাইপোর বাড়ি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পাঠিয়েছেন। উনি (শাহ) আমায় কথা দিয়েছেন, এই দুর্নীতির পূর্ণ তদন্ত হবে।’’
শুভেন্দু ঠিক যে সুরে আক্রমণ করেছিলেন তাই বৃহস্পতিবার শোনা যায় সুকান্তের গলায়। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ যে গ্রিন করিডর বানিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতায় টাকা আনত সে খবর মিলেছে। কারা আনত আর কাদের কাছে সেই টাকা পৌঁছানো হত সেটাও তদন্ত করে বের করবে ইডি।’’