সায়নীকে কটাক্ষ সুকান্তর। ফাইল চিত্র
তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে কলকাতায় ফিরে এসে অভিনয় চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সায়নী ঘোষ ত্রিপুরার আদালতে জামিন পাওয়া প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘‘খুব ভাল খবর। আমরা স্বাগত জানাচ্ছি আদালতের রায়কে। আইন আইনের পথে চলবে। তিনি কোনও অপরাধ না করে থাকলে সাজা পাবেন না।’’ দলের রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে এর পরেই সুকান্তের সংযোজন, ‘‘ফিরে আসুন, সিনেমা করুন। আমরাও দেখব।’’
প্রসঙ্গত, রবিবার আগরতলায় অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ সায়নীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরে তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। সোমবার আদালতে হাজির করিয়ে পুলিশ সায়নীকে দু’দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। তবে শুনানির পর তাঁকে জামিন দেন বিচারক। রবিবার পুলিশ বলেছিল, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে জোরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সায়নী। সেই সময় এক পথচারীকে ধাক্কা দেয় সায়নীর গাড়ি। এ ছাড়া সায়নীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগও এনেছিল পুলিশ। এর পর থানায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সায়নীকে। পরে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে সায়নী বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে ভিত্তিহীন তা প্রমাণিত। আমাদের লড়াই চলবে। এ ভাবে দমানো যাবে না।’’
ত্রিপুরা নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক আসরও উত্তপ্ত। সোমবার দিল্লি যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা প্রসঙ্গে টেনে বলেন, ‘‘কোথায় গেল মানবাধিকার কমিশন? ত্রিপুরায় যে ভাবে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে, তা সারা দেশ দেখেছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যের এমন শাসন ব্যবস্থায় মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে। আমাদের বেলায় তো কত মানবাধিকার কমিশন আর ৩৫৫-র কথা বলা হত। এখন সে সব কোথায়?’’ অন্য দিকে, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে ত্রিপুরা নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন তৃণমূল সাংসদরা। পাল্টা বিজেপি-ও। সোমবার সকালেই বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মাথায় দুটো ইট পড়েছে তা নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে চলে যাচ্ছে। আর দুটো ইট পড়লে তো রাষ্ট্রপুঞ্জে ছুটে যাবে।’’