মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবিতে আদালতে লড়াই চালাতে চায় বিজেপি। ফাইল চিত্র
বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে মুকুল রায় বিজেপি-র টিকিটে জিতলেও পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু শুক্রবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের মামলার রায়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মুকুল ‘বিজেপি’-তেই আছেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বিমানের উদ্দেশে বলেন, ‘‘মুকুল রায় যদি বিজেপি বিধায়কই হন, তবে স্পিকার তাঁকে আমাদের পতাকা হাতে দিয়ে কৃষ্ণনগর পুরভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে পাঠান।’’
গত ১১ জুন মুকুল তৃণমূলে যোগ দেন। এর পরেই মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবিতে স্পিকারের কাছে আবেদন করে বিজেপি। আদালতেও যায় বিজেপি। মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ আশাপ্রকাশ করেছিল, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই বিধানসভায় মুকুলের দলত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়ের নিষ্পত্তি হবে।
শুক্রবার স্পিকার বলেন, ‘‘দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের যে আবেদন করা হয়েছে, তার সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না। তা নজরে রেখেই ওই আবেদন খারিজ করা হল। মুকুল রায় বর্তমানে বিজেপি-তেই আছেন। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না।’’ সন্ধ্যায় বিজেপি-র সাংবাদিক বৈঠকে স্পিকারের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শমীক। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলে ফেরার দিনে মুকুলের পাশে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার কি তবে মুখ্যমন্ত্রীর অস্তিত্বই অস্বীকার করছেন। সে দিন দেওয়া মুকুল ও মমতার বিবৃতি কি মিথ্যা?’’ একই সঙ্গে শমীক দাবি করেন, বিমানের শুক্রবারের মন্তব্য স্পিকার পদের গরিমা নষ্ট করেছে।
স্পিকার মুকুলকে বিজেপি বিধায়ক বলে জানিয়ে দিলেও বিষয়টি এখানেই যে শেষ হয়ে যাচ্ছে না সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন শমীক। তিনি বলেন, ‘‘স্পিকারই শেষ কথা বলবেন এমন নয়। এর উপরে আদালত রয়েছে। আমরা সেখানে গিয়ে এর বিচার চাইব।’’ প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মুকুল মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির চাইছে এ বার সেই মামলায় যাতে গতি আসে সে ব্যাপারে উদ্যোগী হবে দল। মুকুল যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তার বিভিন্ন প্রমাণ নিয়ে খুব শীঘ্রই বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হতে চাইছে বলেও জানা গিয়েছে।