Rajib Banerjee

WB Politics: তৃণমূলকর্মীরা চান না দলে ফিরুন রাজীব, দাবি ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণের

ঘনিষ্ঠ কিছু কর্মীকে ফোন করে রাজীব বলেছেন, এখন এলাকায় গেলে নতুন করে অশান্তি হতে পারে। তাই আপাতত আড়ালে রয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২১ ১৬:৪০
Share:

রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং কল্য়াণ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে ফিরলে ডোমজুড়ের তৃণমূল কর্মীরা খুশি হবেন না। এমনটাই দাবি করলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘ডোমজুড়ে আমাদের কর্মীরা চাইছেন, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের সঙ্গে বিশ্বসঘাতকতা করে বিজেপি-কে ক্ষমতায় আনার স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁরা যেন আর তৃণমূলে ফিরে না আসেন।’’

Advertisement

বিধানসভা ভোটে হাওড়ার ডোমজুড়ে কল্যাণের কাছে হেরে যাওয়ার পর নিজেকে ‘গুটিয়ে’ নিয়েছেন বিজেপি নেতা রাজীব। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের ফল প্রকাশের পর এক মাস পেরিয়ে গেলেও দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ হয়নি। রাজীব তাঁর পুরনো দল তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলেও জল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু কল্যাণ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলে রাজীবের প্রত্যাবর্তনে তাঁদের সায় নেই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘রাজীবকে দলে ফেরানো হবে কি না, তা তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের বিবেচনার বিষয়।’’ প্রসঙ্গত, ভোট গণনার পরের দিনই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, যাঁরা দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাঁর ফিরতে চাইলে স্বাগত।

আরও পড়ুন:

ভোটের প্রচারে রাজীবের নানা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রসঙ্গ তুলে ধরে রাজীবকে ‘ডোমজুড়ের রূপকার’ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন তাঁর অনুগামীরা। এ প্রসঙ্গে কল্যাণের কটাক্ষ, ‘‘মমতার হাত যার মাথায় থাকে, তিনি রূপকার, জায়ান্ট, বাঘ কত কিছু হয়ে যায়! মমতার হাত মাথা থেকে সরে গেলেই সে অপকারে পরিণত হয়।’’ কল্যাণের দাবি, ‘‘২০০৬ সালে ডোমজুড়ে বিধানসভা ভোটে হারার পরে রাজীবের টিকি দেখা যায়নি। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা নানা উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়িত করেছেন। ডোমজুড়েও তারই প্রতিফলন ঘটেছে।’’

Advertisement

ভোটের পর রাজীবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে ডোমজুড়ের বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশও হতাশ। ভোট পরবর্তী হিংসার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও রাজীবকে এক বারের জন্যও সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। অভিযোগ, ভোটের ফল প্রকাশের পর একাধিক বার হামলা হয়েছে রাজীব ঘনিষ্ঠদের উপর। এমনকি, বিজেপি-তে যোগ না দেওয়া রাজীব অনুগামীরাও নানা বিরোধিতার মুখে পড়ছেন। সলপ অঞ্চলের প্রধান দীপালি পণ্ডিত কার্যত বাধ্য হয়ে ইস্তফা দিয়েছেন। এ বিষয়ে যদিও তিনি মুখ খুলতে চাননি। ‘রাজীব অনুগামী’ হিসেবে চিহ্নিত জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোবিন্দ হাজরা তৃণমূলের অন্দরে কোণঠাসা। তবে ঘনিষ্ঠ কিছু কর্মীকে ফোন করে রাজীব পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন বলে খবর। তাঁদের তিনি বলেছেন, এখন এলাকায় গেলে নতুন করে অশান্তি হতে পারে। সেক্ষত্রে তাঁর ঘনিষ্ঠেরা আরও ঝামেলায় পড়তে পারেন। তাই আপাতত আড়ালে রয়েছেন তিনি।

রাজীব প্রসঙ্গে হাওড়ার বাসিন্দা বিজেপি-র রাজ্যস্তরের এক নেতা (যিনি এ বারের ভোটে প্রার্থীও হয়েছিলেন) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি বিজেপি-তেই থাকছেন। মন দিয়ে লড়াই করবেন। তবে গত বার উনি এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন। তার পরেও এলাকার মানুষ যে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিপুল ভোটে উনি হেরেছেন। তাঁতে ওঁর অভিমান হয়েছে। তবে দলীয় কর্মী এবং অনুগামীদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement