রাহুল সিনহা নিজস্ব চিত্র
পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যে সব নিষিদ্ধপল্লি রয়েছে সেখানে বাংলার মেয়েদেরই ভিড় বেশি। রাজ্যের বেকারত্ব নিয়ে বলতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হা। তাঁর ওই মন্তব্যে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, রাহুল বাংলার মহিলাদের অপমান করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিজেপি-র ‘পরিবর্তন যাত্রা’-র সূচনা করতে নামখানায় যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে একটি সভাও করেন তিনি। সেই সভাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র নেতারা। সেখানেই বিতর্কিত ওই মন্তব্য করেন রাহুল। নিজের ভাষণে বাংলার বেকারত্ব নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন, “বাংলায় মা-বোনের সম্মান বলে কিছু নেই। রাজ্যের বাইরে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই যান দেখবেন সব বাংলার বেকাররা ভিড় করেছে। বাংলার বাইরে পতিতালয়ে যান, দেখবেন বাংলার মেয়েরা পতিতালয়ে স্থান নিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ পশ্চিমবঙ্গের মেয়েদের ফুঁসলে বাইরে নিয়ে গিয়ে পতিতার কাজ করানো হচ্ছে। তাই এই সরকারের পতন চাই।”
রাজ্যের মহিলাদের সম্পর্কে রাহুলের ওই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত নিম্ন রুচির ও কুরুচিকর। অনেক যন্ত্রণায় কাউকে কাউকে ওইখানে যেতে হয়। জীবনে কঠিন সমস্যায় পড়ে অনেকে সেখানে যেতে বাধ্য হন। আর তিনি যা অভিযোগ তুলেছেন তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। তৃণমূল জমানায় মহিলাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। মহিলারা স্বনির্ভর হয়েছেন এবং উপার্জন করছেন। তাই যে শব্দ বন্ধনীতে রাহুল সিন্হা ওই মন্তব্য করেছেন তা বাংলার মহিলাদের জন্য অপমানজনক। তাঁর উচিত অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া।”
রাহুলের আগে রাজ্যের বেকারত্ব নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কড়া সমালোচনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে রাহুলের মতো তিনি ‘মাত্রাছাড়া’ হননি। রাহুলের ওই মন্তব্যের ফলে মঞ্চে উপস্থিত অনেক বিজেপি নেতাই অস্বস্তিতে পড়েন। তবে রাহুল যখন ওই মন্তব্য করেন তখনও সভা মঞ্চে এসে পৌঁছননি অমিত। তাঁর হেলিকপ্টার তখন সবেমাত্র ইন্দিরা ময়দান ছুঁয়েছে। অমিত যখন ওঠেন ততক্ষণে রাহুলের বক্তৃতা শেষ। তবে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত রাহুলের এই মন্তব্য নিয়ে মুখ খোলেননি কোনও বিজেপি নেতাই।