Ashoknagar

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও অশোকনগরের বিজেপি নেতা বললেন, ‘ভাওতাবাজি’

অন্য দিকে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, প্রবীণ নেতাকে নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল।  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাসত শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২১ ২১:২৪
Share:

স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিচ্ছেন স্বপন মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র

বিজেপি নেতারা প্রায় প্রতিদিন নিয়ম করে স্বাস্থ্যসাথীর বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন। কিন্তু সেই দলেরই ছোট, মাঝারি, বড় মাপের নেতারাও করাচ্ছেন রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পের এই কার্ড। খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পরিবারও কার্ড নিয়েছে। সেই তালিকায় এ বার সংযোজন অশোকনগর পুর এলাকার বিজেপি নেতা স্বপন মজুমদার।

Advertisement

শুক্রবার স্বপনের বাড়িতে গিয়ে কার্ডি দিয়ে এসেছেন অশোকনগরের তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় সাহা। কার্ড পাওয়ার পরেও স্বপনের বক্তব্য, ‘‘পুরোটাই ভাঁওতাবাজি।’’ তা হলে কার্ড নিলেন কেন? বিজেপি নেতার জবাব, পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ হিসেবে তিনি ওই কার্ড নিয়েছেন। অন্য দিকে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, প্রবীণ নেতাকে নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল।

স্বপনের বয়স সত্তরের কাছাকাছি। অশোকনগর পুরসভায় কাউন্সিলর হিসেবে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে জিততে পারেননি। বর্তমানে বিজেপির বারাসত জেলার সাধারণ সম্পাদক। রাজ্য় সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। শুক্রবার হাতে পেয়েছেন কার্ড। কিন্তু তাঁর দলের নেতারা শুধু নয়, তিনি নিজেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে এই প্রকল্পের সমালোচনা করেছেন। তাঁর দলের নেতাদের কেউ বলছেন, কার্ডই হবে না। কারও বক্তব্য, কার্ড হলেও চিকিৎসার সুযোগ পাবেন না। কেন্দ্রের আয়ূষ্মান ভারত চালু না করে রাজ্যের এমন প্রকল্প অর্থহীন বলেও তোপ দাগছেন কেউ কেউ।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে বিতর্ক, টুইট-যুদ্ধে অবিরত যুযুধান সায়নী-তথাগত

সেই দলেরই নেতা হয়ে তিনি কার্ড নিলেন কী ভাবে? স্বপনের জবাব, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের এক জন সাধারণ নাগরিক হিসেবে কার্ড নিয়েছি। নেওয়ার পরেও বলছি, এটা ভাঁওতাবাজি। এত দিন স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড পেয়ে যাওয়া উচিত ছিল রাজ্যবাসীর।’’ প্রশ্ন তুলেছেন, এখন শেষ বেলায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে সরকার কি প্রমাণ করতে চাইছে? অশোকনগরে বিজেপির আহ্বায়ক স্বপন দে বলেন, ‘‘স্বপন মজুমদারের বয়স হয়েছে। তাই তৃণমূল ওঁকে নিয়ে গেমপ্ল্যান তৈরি করেছে। এ সব করে কোনও লাভ হবে না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর পেয়ে যাবে তৃণমূল।’’

আরও পড়ুন: বঙ্গে বাদ ৬ লক্ষের বেশি ভোটার, কমিশনের ফুল বেঞ্চ আগামী সপ্তাহে

অন্য দিকে অশোকনগর পুরসভার কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতা সঞ্জয় সাহা বলেন, ‘‘উনি আমাকে কার্ড করে দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। বয়স্ক মানুষ। তাই বাড়িতে গিয়ে আমি কার্ড পৌঁছে দিয়েছি।’’ বিজেপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘কার্ডও নিচ্ছেন, আবার রাজ্যবাসীকে ভুলও বোঝাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু দু’টো এক সঙ্গে চলতে পারে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement