ব্রাত্যকে কটাক্ষ দিলীপের। ফাইল চিত্র
ত্রিপুরায় প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীরা আটক হলে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে। সেই ঘটনাকে কটাক্ষ করে তালিবান হামলায় বিপর্যস্ত আফাগানিস্তানে আটকে পরা বাঙালিদের আনতেও তৃণমূল কাবুলে প্রতিনিধি দল পাঠাক বলে কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বেও যাতে ব্রাত্যকেই রাখা হয় তাও উল্লেখ করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘দিদির কাছে ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলকে আফগানিস্তানে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করব৷ আফগানিস্তানে এ রাজ্যের যে বাঙালিরা আটকে রয়েছে তাঁদের আনার জন্য যাক ওই দল৷”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’-য় অংশ নিতে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন দিলীপ। সেই সফরের মধ্যেই আলিপুরদুয়ারে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আফগানিস্তান নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সবরকম নজর রাখছে৷ প্রয়োজনে সব রকম ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আফগানিস্তানে যে ভয়ের পরিবেশ রয়েছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত৷ একটা সুস্থ সরকার দরকারে আফগানিস্থানে।” এর পরেই আফগানিস্তানে আটকে থাকা বাংলার মানুষদের নিয়ে তৃণমূলের উদ্বেগ প্রসঙ্গে দিলীপতৃণমূলকে কটাক্ষ করেনব্রাত্যকে নিয়ে।
শনিবার সকালে উত্তরবঙ্গে পৌঁছেই বিতর্ক তৈরি করেন দিলীপ। জলপাইগুড়ির দলীয় কার্যালয়ে বার্লার পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য গঠনের দাবিকে সমর্থন জানান। মন্ত্রী বার্লাকে পাশে বসিয়েই তিনি বলেন, ‘‘মানুষের কথা বললেই কি বিচ্ছিন্নতাবাদী বলতে হবে নাকি!’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আজ যদি জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গ আলাদা হতে চায়, তার সমস্ত দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।’’ দিলীপের দাবি, অনুন্নয়নের জন্যই মানুষের মধ্যে ওই দাবি উঠেছে। আর সেটাই বলেছেন জনপ্রতিনিধি বার্লা।