ফাইল চিত্র।
পাটশিল্প সংক্রান্ত তাঁর দাবি দাওয়া নিয়ে এখনও দল ও কেন্দ্রীয় সরকারের উপরে চাপ বহাল রাখছেন অর্জুন সিংহ। মূলত তিনি বসুরো হওয়াতেই পাটশিল্পের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয় কেন্দ্রীয় সরকার। অর্জুন জানিয়েছেন, সোমবার প্রতিশ্রুতি মতো কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে দিল্লিতে। সেই বৈঠকে ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। অর্জুন জানিয়েছেন, সোমবারের বৈঠকে সদর্থক আলোচনা হয়েছে বলেই তিনি খবর পেয়েছেন। তবে এখনই তিনি চুপ করতে চাইছেন না। আনন্দবাজার অনলাইনকে অর্জুন বলেন, ‘‘আমরা চটকলের লোক। আমরা হাতে কাগজ না পেলে কিছু বিশ্বাস করি না। বৈঠক হয়েছে কিন্তু কী সিদ্ধন্ত হয় এবং তার পরে তা কার্যকরের জন্য কী পদক্ষেপ করা হয় তা দেখেই পরবর্তী আন্দোলন ঠিক করব।’’
প্রসঙ্গত, এই বৈঠক মূলত অর্জুনের চাপেই ডাকা হয়। পাট চাষিদের সমস্যা মেটাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি জানিয়েছিলেন তিনি। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, ওই বৈঠকে সমস্যার সমাধান না হলে তিনি দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনে নামবেন। সম্প্রতি কেন্দ্রের শাসক দলের সাংসদ হয়েও বস্ত্র মন্ত্রকের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর দলবদলের সম্ভাবনা উস্কে দেন অর্জুন। তৃণমূলের একটি অংশ দাবি করেছিল, অর্জুনের দলবদল এখন সময়ের অপেক্ষা। যদিও দলবদল প্রশ্নে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাননি অর্জুন। তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাজনীতিতে এক দল থেকে অন্য দলে যাওয়া অপরাধ নয়। তবে আমি এখনও বিজেপিতেই আছি। বিজেপি কোনও কর্মসূচি নিলে তাতে যোগ দেব।’’
অর্জুন সরব হয়েছিলেন বস্ত্রমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়ে চিঠিও দেন। এর পরেই বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে তাঁকে দিল্লিতে তলব করেন। অর্জুনের সঙ্গে কথা বলেন পীযূষ। এর পরে বস্ত্র মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গেও বৈঠক হয়। সেখানেই সোমবারের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হয়।