সৌমেন রায়। —ফাইল চিত্র।
কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বিজেপি। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই আবেদন করা হয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা থেকে বিজেপির প্রার্থী হন সৌমেন। সেই নির্বাচনে ২১ হাজার ৮২০ ভোটে জয় পান তিনি। কিন্তু ওই বছরই ৪ সেপ্টেম্বর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সৌমেন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৎকালীন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে শাসকদলে গিয়েছিলেন তিনি।
তার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে স্পিকার বিমানের কাছে সৌমেনের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করা হয়। কিন্তু বছর তিনেক তৃণমূলে কাটিয়ে লোকসভা ভোটের আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিধাননগরে বিজেপি দফতরে শুভেন্দুর হাত ধরেই পদ্মে ফেরেন এই বিধায়ক। তার পর থেকেই মনে করা হচ্ছিল যে বিরোধী দলনেতার দফতর থেকে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। সোমবার আবেদন পৌঁছে গিয়েছে স্পিকারের দফতরে।
বিজেপি সূত্রে খবর, দলের রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের পরামর্শেই আবার পুরনো দলে ফিরেছেন রাজবংশী বিধায়ক সৌমেন। গত বছর থেকেই তিনি শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। এর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি বিধায়কদের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকের পর সৌমেন বিজেপিতে যোগ দেন। লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির ফল খারাপ হলেও, উত্তরবঙ্গে ছ’টি আসন জিতে মুখরক্ষা হয়েছে পদ্মশিবিরের। আর রায়গঞ্জ লোকসভায় প্রার্থী বদল করার কৌশলও কাজে এসেছে। দেবশ্রী চৌধুরীকে সরিয়ে কার্তিক পালকে প্রার্থী করায় ওই আসনে ৬৭ হাজার ৪৯৪ ভোটে জয় পেয়েছে বিজেপি। আর রায়গঞ্জ লোকসভার অধীন কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী ৫৭ হাজার ৯৪৪ ভোটের ব্যবধান পেয়েছেন। তাই স্বাভাবিক কারণেই দলে কদর বেড়েছে তৃণমূলে গিয়ে বিজেপিতে ফিরে আসা বিধায়কের।
ফলপ্রকাশের পর সৌমেন বলেছিলেন, ‘‘আমি যে পক্ষে থাকব জয়ের ব্যবধান সেই পক্ষেই থাকবে।’’ আর লোকসভা ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই সৌমেনের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া শুরু করল বিজেপি পরিষদীয় দল।