বাঁ দিক থেকে, জগৎপ্রকাশ নড্ডা, নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে এসে বারবার বলে গিয়েছেন, লোকসভার পরীক্ষা হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। তবু পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বুথ নিয়ে স্বস্তিতে নেই রাজ্য বিজেপি। বুথওয়াড়ি শক্তি কতটা দলের, তা এখনও স্পষ্ট নয় সব ক্ষেত্রে। এই পরিস্থিতিতে দলের রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ স্পষ্ট বলছেন, গ্রামে, বিশেষ করে জেলা পরিষদে শক্তি না বাড়াতে পারলে লোকসভায় তৃণমূলকে ধাক্কা দেওয়া কঠিন হবে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বছরভর রাজ্যের একাধিক জায়গায় জনসভা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা। আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। তবে বুথ স্তরে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে রাজ্যে বিজেপির ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে রাজ্যে কার্যত ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছেন। তাঁদের স্পষ্ট মূল্যায়ন, পঞ্চায়েতের আগে বুথ শক্তিশালী করা গেলে তা লোকসভা ভোটে দলকে অনেকটা এগিয়ে রাখতে পারবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্বে কমিটি গড়ে সেই কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। রায়গঞ্জের দলীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী কমিটির আহ্বায়ক। দলীয় সূত্রে দাবি, ইতিমধ্যেই তিনটি পর্যায়ের বুথ শক্তিশালী করার কর্মসূচি শেষ হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর পর্যন্ত তাঁদের হিসেব, ৫৪-৬০% বুথে পৌঁছনো গিয়েছে।
প্রায় ৪০% বুথ অধরা থাকলেও রাজ্যে এসে বাংলা থেকে ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন শাহ। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে ৩০ শতাংশের বেশি বুথে কমিটিই তৈরি হয়নি, শীর্ষ নেতৃত্বের বেঁধে দেওয়া এই লক্ষ্যপূরণ কী ভাবে সম্ভব? এই প্রশ্নে দলের একাংশের দাবি, লোকসভা ভোটে জিততে বুথ কমিটি লাগবে না। মানুষ ভোট দেবেন ‘মোদীজি’র কাজ দেখে।
পঞ্চায়েতের তিন স্তরের প্রার্থী বাছাইয়ে নির্দিষ্ট ‘ফর্মুলা’ তৈরি করেছিল বিজেপি। দলীয় সূত্রের দাবি, নিয়মিত সাংগঠনিক কাজে থাকেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এমন নেতাকর্মীদের প্রার্থী করা হয়েছে। তাতে ইতিবাচক ফলের আশা করছেন দলীয় নেতৃত্ব।
বিজেপির শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গ থেকে নির্বাচিত বিধায়ক তথা দলের রাজ্য সম্পাদক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “দল পঞ্চায়েত নির্বাচনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, এমনটা আমি মনে করি না।” তাঁর মতে, “কয়েকটা জেলা পরিষদ না জিতলে, লোকসভায় তৃণমূলকে ধাক্কা দেওয়া যাবে না।”