বৃহস্পতিবার কলকাতায় দলীয় কর্মসূচিতে নড্ডা। নিজস্ব চিত্র
মে মাসে অমিত শাহ রাজ্য সফরে এসে বাংলার নেতাদের পথে নামার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন। স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন বিরোধী দলের ভূমিকা। এ বার একই কথা বলে গেলেন জেপি নড্ডা। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের বিধায়ক, সাংসদদের লাগাতার পথে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বৃহস্পতিবার। নিউ টাউনের হোটেলে দলের সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন নড্ডা। সেখান রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা দিলীপ ঘোষ, বিএল সন্তোষ, অমিত মালব্যরা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে ইতিমধ্যেই একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে বাংলার বিজেপি। সেই সব কর্মসূচি সফল করতে জনপ্রতিনিধিদের পথে নামতে বলেছেন নড্ডা।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাব মেনেই এই দিবসের ঘোষণা করে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। সেই থেকে এই দিনটি পালন করে আসছে বিজেপি-ও। করোনা পরিস্থিতির জন্য গত কয়েকবছর এই কর্মসূচি সে ভাবে পালন করা যায়নি। এ বার তা বড় আকারেই পালন করতে চায় বিজেপি। রাজ্যেও সর্বত্র নেতা, বিধায়ক, সাংসদরা যোগ দিবস পালন করবেন। দলের পক্ষে ঠিক হয়েছে, কেউ নিজের বাড়িতেও যদি যোগ দিবস পালন করেন তবে সেখানে দলীয় পতাকা এবং মোদীর ছবি রাখতে হবে। যাঁরা যোগব্যায়াম করতে পারেন না তাঁদেরও এমন কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে হবে।
এর ঠিক আগের দিন ২০ জুন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করবে বিজেপি। গেরুয়া শিবির বরাবরই এই দাবি করে যে ১৯৪৭ সালের ২০ জুন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতের অংশ হয়। সেদিন শ্যামাপ্রসাদ-পন্থী ৫৪ জন বিধায়কের প্রবল দাবির কাছেই পশ্চিমবঙ্গ স্বীকৃতি পায় বলে দাবি করা হয়। এই দিনটি পালনেও এ বার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে ঠিক করেছে বিজেপি। এর পাশাপাশি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুদিন ২৩ জুন থেকে জন্মদিন ৬ জুলাই পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে হবে প্রচারাভিযান।
গত ২৬ মে থেকে মোদী সরকারের অষ্টম বর্ষ পূর্তি পালন করছে বিজেপি। দেশজুড়ে চলছে প্রচারাভিযান। কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে সরকার কী কী করেছে তা প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। বাংলাতেও সেই কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। এর পরে রাজ্য জুড়ে বুথের শক্তি বাড়ানোর অভিযানেও নামতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। জুন, জুলাই মাসে যে কর্মসূচি পালন হবে তাতে কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে প্রচারের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়েও সরব হতে চায় বিজেপি।