রাজ্য বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল হতে পারলেও পরবর্তী সময়ে সব ভোটেই পিছিয়ে চলেছে বিজেপি।
রাজ্য বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল হতে পারলেও পরবর্তী সময়ে সব ভোটেই পিছিয়ে চলেছে বিজেপি। বুধবার প্রকাশিত রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার ছ’টি ওয়ার্ডের ফলেও দেখা গেল সেই চিত্র। বিধানসভায় কোনও আসন না পাওয়া সিপিএম একটি ওয়ার্ডে জয়ের পাশাপাশি তিনটিতে দ্বিতীয় হতে পেরেছে। একটিতে প্রার্থী দেয়নি। সেখানে বিজেপি সব ক’টিতে লড়াই করে। একটিতে দ্বিতীয় হয়ে বাকি পাঁচটি ওয়ার্ডেই তৃতীয় স্থানে। আর কংগ্রেস পাঁচ জায়গায় চতুর্থ হলেও ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছে। সব মিলিয়ে বুধবার প্রকাশিত ফলে তৃণমূল তো বটেই সিপিএম এবং কংগ্রেসের থেকেও পিছিয়ে কোনও আসনেই জিততে না পারা বিজেপি।তবে প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের হিসাবে কংগ্রেসের থেকে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস গড় ভোট পেয়েছে ৪.৮১ শতাংশ আর বিজেপি ৬.৬৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ১৪.৩৩ শতাংশ। চারটি আসনে জেতা তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট অনেকটাই বেশি। রাজ্যের শাসকদল পেয়েছে ৭৪.০১ শতাংশ।
শতাংশের হিসাব দেখলে বিজেপির মান রক্ষা হয়েছে ভাটপাড়ায়। একমাত্র এখানেই দুই সংখ্যায় পৌঁছেছে প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ। এই পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি পেয়েছে ১০.৪৮ শতাংশ ভোট। একমাত্র দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি দু’নম্বরে রয়েছে। তা-ও অল্পের জন্য। বিজেপি পেয়েছে ৯৫১টি ভোট। সেখানে সিপিএমের ঝুলিতে ৯৪৯টি ভোট। ১০ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বনশ্রী চট্টোপাধ্যায়।
বিধানসভা ভোটের পরে এমন ফল আগেও দেখা গিয়েছে রাজ্যে। শান্তিপুর ও বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তৃতীয় হয় গেরুয়া শিবির। দুই আসনেই দ্বিতীয় হয় সিপিএম। একই চিত্র দেখা গিয়েছে কলকাতা পুরসভার অনেক ওয়ার্ডে।