মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ যাওয়ার পরে এতদিন রাজ্যে কোনও দায়িত্বই পাননি দেবশ্রী চৌধুরী। ফাইল চিত্র
প্রায় এক বছর সময় থাকতেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করল বিজেপি। কোনও কারণে ভোট এগিয়ে না এলে ২০২৩ সালের মে মাসে রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। তার প্রস্তুতি নিতে নির্বাচন সমন্বয়কারী দল তৈরি করেছে রাজ্য বিজেপি। আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই দলের কথা ঘোষণা করা না হলেও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দলের মাথায় থাকছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁর সহকারী হিসাবে থাকছেন দুই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, জগন্নাথ সরকার এবং রাজ্যের সহ-সভাপতি। এই কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণকে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে এই দলের কাজ হবে সব জেলার সভাপতিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কোথায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার তা ঠিক করা। এর পরে প্রার্থীতালিকা তৈরি থেকে প্রচারেও এই দলকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধিত্ব রাখতে এই দলের সদস্য করা হয়েছে মোট ১৫ জনকে। এঁদের মধ্যে ছ’জন বিধায়কও রয়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা দুই প্রাক্তন বিধায়ক হাওড়ার শীতল সর্দার ও পূর্ব মেদিনীপুরের বাঁশরি মাইতি। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে এই দল তৈরি করা হলেও আগামীতে প্রয়োজন অনুযায়ী দলের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হবে।
তবে এই দলের শীর্ষে দেবশ্রীকে রাখা রাজ্য বিজেপির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী না থাকা দেবশ্রীর ইদানীং দলে কোনও দায়িত্বই ছিল না। সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত দেবশ্রী এক সময়ে ছাত্র সংগঠন এবিভিপি করতেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে অনেক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন নির্বাচনেও লড়েছেন। কিন্তু প্রথম সাফল্য পান ২০১৯ সালে। রায়গঞ্জ আসন থেকে জিতে কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রী হন। কিন্তু ২০২১ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের সময় বাবুল সুপ্রিয়ের সঙ্গে বাদ যান দেবশ্রীও। এর পরে তিনি কেন্দ্রীয় বিজেপি কর্মসমিতির সদস্য থাকলেও রাজ্যে কোনও দায়িত্ব পাননি। রাজ্য সংগঠনে তাঁকে কী ভাবে কাজে লাগানো হবে তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে নানা জল্পনা ছিল। অবশেষে দায়িত্ব পেলেন।