BJP

BJP: নতুন বছরে নবান্ন অভিযানে বিজেপি

শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, কর্মসংস্থানের অভাব, কৃষকদের ফসলের উপযুক্ত দাম না পাওয়া-সহ জনগণের নানা সমস্যা নিয়ে একের পর এক আন্দোলন করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:২৫
Share:

ফাইল ছবি

নতুন রাজ্য পদাধিকারীদের প্রথম বৈঠকে দলকে আন্দোলনমুখী করার পরিকল্পনা করল বিজেপি।

Advertisement

দলের রাজ্য দফতরে শুক্রবার নতুন পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। বিধানসভা ভোটে ২০০-র বেশি আসন জিতে সরকার গড়ার দাবি করে ৭৭টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। তার পরে সাতটি বিধানসভার উপনির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে তাদের। আর কলকাতা পুরভোটে ভোটপ্রাপ্তির হারে বামেদের চেয়েও নিচে নেমে গিয়ে তৃতীয় হয়েছে তারা। সব মিলিয়ে বিজেপি কর্মীদের মনোবলে ধাক্কা লেগেছে। পাশাপাশি, বিধানসভা ভোটের পর থেকে শাসক তৃণমূলের সন্ত্রাসের ফলেও দলের কর্মীদের অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন বলে বিজেপি নেতত্বের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের ফের চাঙ্গা করে রাস্তায় নামানোর বার্তা এ দিনের বৈঠকে দিয়েছেন সুকান্ত। সেই সূত্রেই ঠিক হয়েছে, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, কর্মসংস্থানের অভাব, কৃষকদের ফসলের উপযুক্ত দাম না পাওয়া-সহ জনগণের নানা সমস্যা নিয়ে একের পর এক আন্দোলন করা হবে। এখন জেলায় জেলায় ‘কৃষি বাঁচাও, কৃষক বাঁচাও’ আন্দোলন করছে বিজেপি। জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে কৃষকদের নিয়ে নবান্ন অভিযান করা হবে বলে এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কর্মীদের উৎসাহ দিতে ফের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের শরণ নিতে চাইছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। জানুয়ারি মাসে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডাকে রাজ্যে এনে কোনও কর্মসূচি করার কথা ভাবা হচ্ছে। ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসে বার্তা দিন, এমনই চাইছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। যদিও এ বিষয়ে নড্ডা বা মোদীর সঙ্গে এখনও তাঁদের কথা হয়নি।

Advertisement

তবে মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, নড্ডা-সহ বাংলার বাইরের নেতাদের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা, তাঁদের প্রায় নিত্যযাত্রীর মতো রাজ্যে আনাগোনা এবং প্রচারের ফলেই বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে বলে দলেরই একাংশের মত। সুতরাং, এখন কর্মীদের চাঙ্গা করতে সেই মোদী, নড্ডাকেই ডাকা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে দলের ওই অংশ সন্দিহান। রাজ্য বিজেপির নতুন পদাধকারীদের বৈঠকে এ দিন ছিলেন না সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়, সহ-সভাপতি জগন্নাথ সরকার ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement