শুভেন্দু অধিকারীকে আড়াল করতে নেমে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ তোলার পরেই তাঁকে আড়াল করতে নেমে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলে ছিলেন বলেই, শুভেন্দুকে দলের নির্দেশে ওই কাজ করতে হয়েছিল।’’ তাঁর দাবি, তিনি নিজে ওই দলে থাকলে তাঁকেও হয়তো ও সব করতে হত। তবে সুকান্তের এই মন্তব্যে শুভেন্দুর ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলেই মনে করছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক তৃণমূলের নেতা গ্রেফতার হচ্ছেন। যা নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে শাসক শিবিরকে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতি আক্রমণে দিন দু’য়েক আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমানে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগে সরব হন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলে থাকার সময়ে শুভেন্দু অন্তত দেড়শ জনকে চাকরি দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ৫৫ জনের চাকরি গিয়েছে। তাঁর প্রশ্ন ছিল, কেন তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধেই তদন্ত করবে তদন্তকারী সংস্থা। কেন শুভেন্দুর ভূমিকাকে খতিয়ে দেখা হবে না।
আজ এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যাক ওই অভিযোগ সত্য। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে তিনি ওই সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী যদি কিছু করে থাকেন তা হলে তা দলের নির্দেশেই করেছেন। আমি ওই দলে থাকলে আমাকেও হয়তো করতে হত।’’ রাজনীতির অনেকের মতে, আজ কার্যত ওই কথা বলে তৃণমূল দলের ঘাড়ে সব দায় ঠেলে দিয়ে শুভেন্দু যে নির্দোষ তা বুঝিয়ে দিলেন সুকান্ত।
কুণাল বলেন, ‘‘সুকান্ত তো ঘুরিয়ে শুভেন্দুর দিকেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার দায় ঠেলে দিয়েছেন। আর সেই সুকান্ত তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলছেন।’’