প্রতীকী ছবি।
বিধায়কদের দলত্যাগের প্রশ্নে তৃণমূলের অস্ত্রই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি। বিধানসভায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সদস্যদের দলত্যাগ নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, কৌশলে তাঁরা তা এড়ানোর চেষ্টা করছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
বেশ কিছু দিন আগে তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়কদের নোটিস দিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, বিধানসভায় তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান কী? সম্প্রতি তার জবাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়কেরা জানিয়েছেন, অন্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়কেরা আগে তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করুন, তারপর তাঁরা উত্তর দেবেন।
বীজপুরের বিধায়ক তথা মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় এ দিন বলেন, ‘‘আমরা বলেছি, এ কোনও নতুন ঘটনা নয়। বহু বিধায়ক অন্য দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিধানসভায় তাঁরা দল বদলের কথা জানাননি। আগে তাঁরা উত্তর দিন। তারপর আমরা দেব।’’ বস্তুত শুভ্রাংশু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই এ নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছিল। মুকুলবাবুও তখন জানিয়েছিলেন, নোটিস পেলে ‘যুৎসই’ জবাব তাঁর কাছে আছে।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে কংগ্রেস এবং সিপিএম থেকে একাধিক বিধায়ক শাসক দলে যোগ দিয়েছেন। বিধানসভায় বার বার তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। কয়েকজনের বিরুদ্ধে এখনও শুনানি চলছে দলত্যাগ বিরোধী আইনে। এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, নিজেদের বিধায়ক পদ বাঁচাতে তৃণমূলের সেই কৌশলই এ বার হাতিয়ার করছে বিজেপি।