মোদী, মমতা, যোগী। ফাইল চিত্র।
অনুমতি দিয়েও শেষ মুহূর্তে ‘খেলা হবে’ দিবসের অনুমতি বাতিল করে দিল উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাট প্রশাসন। ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ১৬ অগস্ট দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল নেতৃত্ব ওই দিনটিকে ‘খেলা হবে’ দিবস হিসেবে পালন করবে। সেই মতো পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা-সহ অসম, কেরল, গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতারা দিনটি পালন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশে লখনউ এবং গুজরাতের গোধরায় এ ব্যাপারে বড় ধরনের কর্মসূচি আয়োজনের বিষয়ে উদ্যোগি হন সে রাজ্যের তৃণমূল নেতারা। ‘খেলা হবে’ দিবস উপলক্ষে ফুটবল ম্যাচেরও আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। জাতীয় স্তরের বেশ কিছু ফুটবলারকে ময়দানে নামানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ তৃণমূলের তরফে। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে প্রশাসন অনুমতি না দেওয়ায় ফুটবল ম্যাচটি বাতিল করতে হয়েছে।
গুজরাতের গোধরার একটি স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলার আয়োজন করেছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা নীরজ রাই বলেন, ‘‘শুধু খেলা হবে দিবস নয়। এর আগেও চার বার একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। গত মাসে যখন আমরা পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম তখনও প্রশাসন আমাদের আটকে দিয়েছিল। শহিদ দিবস পালনেও আমরা বাধা পেয়েছি। এ বার আমরা একটি খেলা আয়োজনের অনুমতি চেয়েছিলাম। তাও দেওয়া হল না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মোদী-যোগীরা মুখেই স্বামী বিবেকানন্দের কথা বলেন। তাঁর আদর্শকে সামনে রেখে যুব সমাজকে নিয়ে যখন আমরা ফুটবল খেলার আয়োজন করেছিলাম, তখন তা ভেস্তে দেওয়া হল। এর থেকেই বোঝা যায় আরএসএস ও বিজেপি মুখেই হিন্দুত্বের কথা বলে। তাতে বিশ্বাস করেন না।’’
গুজরাত ও উত্তরপ্রদেশে ‘খেলা হবে’ দিবস পালন বন্ধের বিষয়ে উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতের তৃণমূল নেতারা রাজ্যসভার দলনেতা সুখেন্দুশেখর রায়কে জানিয়েছেন। আপাতত তাঁরা দলের শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায়। কারণ ‘খেলা হবে’ দিবস পালন না করতে পারলেও বিজেপি বিরোধী কর্মসূচি তাঁরা চালিয়ে যেতে চান।