ডেরেক ও’ব্রায়েন।
কাশফুলের মধ্যে দিয়ে অপু-দুর্গার দৌড়ে ট্রেন দেখতে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয়েছিল দেশের হতদরিদ্র গ্রামীণ মানুষের আশা আকাঙ্খার স্বপ্ন। আজ যা ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। এ দিন রাজ্যসভায় রেল মন্ত্রক বিষয়ক আলোচনায় এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন।
সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালি’ ছবির ওই দৃশ্যের বর্ণনা করে তিনি তাঁর বক্তৃতার গোড়াতেই তুলে এনেছেন রেলমন্ত্রীর টুইট করা একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎবেগে ছুটছে বন্দেমাতরম এক্সপ্রেস। ডেরেকের কথায়, ‘‘পরে জানা যায় ওই ট্রেনের স্পিড পঞ্চাশ গুণ বাড়িয়ে ভিডিয়োটি তোলা হয়েছে! এর থেকেই বর্তমানে রেলের বাস্তব পরিস্থিতি স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি নির্লজ্জ ভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন যে সব ভাবনা এনেছিলেন সে সব ধ্বংস করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন উনি রামকৃষ্ণের ভক্ত। কিন্তু তারকেশ্বর, জয়রামবাটি, কামারপুকুর সংলগ্ন রেল প্রকল্পগুলির বরাদ্দ দেখলেই বোঝা যায় যে বাংলাকে
ভিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।’’ তাঁর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এখানকার মোট ৭টি রেল প্রকল্পে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের সাহায্যে তৈরি ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো করিডর উদ্বোধনের দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না ডাকার সমালোচনা করে ডেরেক বলেন, ‘‘আপনারা সমন্বয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা চালানোর কথা বলেন। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকার ন্যূনতম সৌজন্যও দেখালেন না। কেন? তিনি আপনাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। আপনারা ওঁকে ভয় পান। কিন্তু অন্তত এক জন স্থানীয় সাংসদকেও তো ডাকতে পারতেন।’’