গোয়া সফরে মমতা। ছবি: পিটিআই।
পাহাড়ে প্রশাসনিক সফর সেরে উত্তরবঙ্গ থেকে সোজা গোয়া গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগডোগরা থেকে বিশেষ বিমানে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে জানিয়ে গেলেন, আগামী মাসে আবার তিনি পাহাড়ে আসবেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যতটা পেরেছি এ বার পাহাড়ে জনসংযোগ করেছি। ছাত্রছাত্রী, মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই ভাল থাকুন। সোজা গোয়া যাচ্ছি। পরে আবার কী হল জানাব।’’
বুধবারের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও কার্শিয়াং সার্কিট হাউস থেকে মহানদী অবধি প্রাতর্ভ্রমণে বের হন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন জিটিএ চেয়ারম্যান এবং প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা। পরে অনীতকে পাহাড়ের জন্য যা যা করণীয় সেই নির্দেশ দেন। সকালে হাঁটার অবসরে পাহাড়ি রাস্তার দু’ধারে মহিলা ও বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেন। এর পর রাস্তার ধারেই এক জায়গায় বসে চা খেতে খেতে স্থানীয় কয়েকটি ছেলেমেয়েকে ডেকে তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করেন।
এ দিন সকাল থেকে দলীয় শিলিগুড়িতেই ছিলেন সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া সফর নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল হচ্ছে কুয়োর ব্যাঙ। কুয়োর ব্যাঙ সবে সমুদ্রের ধারে গিয়েছে। সমুদ্র দেখে লাফালাফি বেশি করছে।’’ এর পর মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া-যাত্রা নিয়ে তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘গোয়া বিজেপির প্রদেশ সভাপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আহ্বান জানিয়েছেন! তিনি ভোট অবধি থাকুন ওখানে। তার পর একটা আসন জিতে দেখান। এটা স্বপ্ন দেখা ছাড়া কিছুই নয়।’’
এর মধ্যেই পাহাড় সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি স্টিয়ারিং কমিটির অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার কার্শিয়াঙের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব বা পথ তৈরির জন্য কমিটি গড়েন। সেখানে অনীত ছাড়া বিমল গুরুংয়ের ঘনিষ্ঠ রোশন গিরিকে রাখা হয়। অমর সিংহ রাই ছাড়াও কমিটিতে আছেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। সূত্রের খবর, কমিটির সদস্যেরা নিজেরা আলোচনা শুরু করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে একসঙ্গে বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর।