KMC

ট্রেড লাইসেন্স ফি তুলে না নিলে পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলন, হুঁশিয়ারি বিজেপি কাউন্সিলরদের

সোমবার কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা বিজেপি কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিত, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষ ও বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা। স্মারকলিপিও তুলে দেন পুর কমিশনারের হাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ২০:০৩
Share:

কর বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ কলকাতা পুরসভায়। নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে বড়সড় আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিলেন বিজেপি কাউন্সিলররা। সোমবার কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা বিজেপি কাউন্সিলর মিনাদেবী পুরোহিত, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সজল ঘোষ ও বিজেপি কাউন্সিলর বিজয় ওঝা। সাক্ষাৎ করে নিজেদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন পুর কমিশনারের হাতে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে সজল বলেন, ‘‘ট্রেড লাইসেন্স ফি-র নামে লুঠ চলছে কলকাতা পুরসভায়। একটা চপের দোকানদারের উপরেও বিভিন্ন ভাবে লাইসেন্স ফি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তিনি যদি ১০০ স্কোয়ার ফুট জায়গাও ব্যবহার করেন।’’ গত বছর তিনি ৮২০ টাকা দিয়েছিলেন। এখন তাঁকে ৪৩৯২ টাকা করে দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সজল। জঞ্জাল অপসারণের নামে লাইসেন্স ফি চাপিয়ে ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ বাড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। তাঁর কথায়, ‘‘এই পুরসভা নাকি জল কর নেয় না। অথচ, আমার কাছে যে নথি আছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এই পুরসভা জল কর নিচ্ছে।’’

Advertisement

আগামী ২৮ এপ্রিল কলকাতা পুরসভার অধিবেশন বসবে। বিজেপি কাউন্সিলরদের দাবি, ওইদিনের অধিবেশনেই ট্রেড লাইসেন্স ফি প্রত্যাহার করতে হবে কলকাতা পুরসভাকে। নচেৎ ওইদিনই তাঁরা কলকাতা পুরসভা অভিযান করবেন। প্রয়োজনে অনশন ও করবেন বিজেপির কাউন্সিলররা। বিজেপি কাউন্সিলর সজল দাবি করেছেন, "বিষয়টি নিয়ে কমিশনার নিজেই ওয়াকিবহাল নন। আমরা আমাদের দাবির স্বপক্ষে বেশকিছু কাগজপত্র তুলে দিয়েছি।" তিনি আরও বলেন, "কমিশনারকে বোঝানো হয়েছে ট্রেড লাইসেন্স ফিক কোনোমতেই বাড়েনি। শুধুমাত্র জঞ্জাল পরিষ্কার খাতে ফি বাড়ানো হয়েছে। আমরা বলেছি ২৮ তারিখের আগে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে নিয়ে বৈঠকে ডাকুন, আমাদের সেখানে এসে আমরা আমাদের কথা তাঁদের কাছে জানিয়ে যাব।" এমন অভিযোগের জবাবে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বিজেপি কাউন্সিলররা যে জল কর নেওয়ার অভিযোগ করছেন তা নেওয়া হয় না। লাইসেন্স ফি আদৌ বাড়ানো হয়নি। যাদের কাছে বাড়ানো ফ্রি নেওয়া হয়েছে তাদের থেকে বিষয়টি অ্যাডজাস্ট করে নেওয়া হবে। এবং যাদের কাছে অতিরিক্ত কর দেওয়ার বার্তা গিয়েছিল তাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement