সব জেলা নেতাদের এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে প্রতিনিয়ত নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যসভার সংসদ সুব্রত। — নিজস্ব চিত্র।
দলের জনসংযোগ যাত্রা সফল করতে দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বকে ময়দানে নেমে কাজ করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। জনসংযোগ যাত্রা সফল করতে রবিবার রাজ্য জেলা স্তরের কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল। রাজ্য স্তরের ২২ জন নেতাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজ্য নির্বাচনী কমিটি। আর রাজ্যের ২২টি জেলাকে বিভক্ত করে তৈরি হয়েছে ৮টি জোন কমিটি। রাজ্য নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে সভাপতি সুব্রতকে। সেই পদাধিকারবলে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তিনি। রাজ্য নির্বাচনী কমিটি-সহ জোন কমিটির নেতারাও এই বৈঠকে অংশ নেন। সেখানেই নেতাদের পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী চয়নের পদ্ধতি প্রসঙ্গে অবগত করান। যে ৬০টি অধিবেশন হবে, সেই অধিবেশনে কীভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাজ করতে হবে, তাও জানান বক্সী। যে জেলায় জনসংযোগ যাত্রা যাবে সেই জেলায় নেতাদের ভূমিকা কী হবে, তাও জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে জনসংযোগ যাত্রা। সোমবার বিকেলে দিনহাটায় পৌঁছে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার কোচবিহারের দিনহাটায় থেকে শুরু হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী অন্বেষণের কাজ। লাগাতার ৬০ দিনের এই কর্মসূচিতে যাতে কোনো ভাবেই ঢিলেমি না দেখানো হয় সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন সুব্রত। সূত্রের খবর, রাজ্য সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটে দলের ভাবমূর্তি তৈরি করতেই স্বচ্ছ প্রার্থীর খোঁজ করতেই এই উদ্যোগী হয়েছে দল। এলাকার প্রান্তিক মানুষ যাতে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে পারেন সেই বিষয়ে দলের নেতাকে পৃথক ভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। দল যাঁকে যে ভাবে দায়িত্ব দেবে তাঁকে সেই দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে। যত সময় গড়াবে ততই উত্তরবঙ্গর থেকে দক্ষিণবঙ্গের দিকে আসবে অভিষেকের এই জনসংযোগ যাত্রা। তাই সব জেলা নেতাদের এই জনসংযোগ কর্মসূচিতে প্রতিনিয়ত নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যসভার সংসদ সুব্রত।