দ্রৌপদী মুর্মু এবং সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটে দল ভাগ বসাতে পারবে বলে আশা করছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের সব বিধায়ক ও সাংসদকেই দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে সমর্থন চেয়ে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কেও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে সই করেছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্তের দাবি, অনেক আদিবাসী বিধায়কই দ্রৌপদীর পক্ষে ভোট দেবেন। তবে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী তথা রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির ডাকে সাড়া দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমাদের দলের রাজনৈতিক অবস্থান মেনেই আমরা ভোট দেব।’’
রাজ্যের শাসকদলের বিধায়কদের চিঠি দেওয়াই শুধু নয়, বিজেপির অঙ্ক তৃণমূলের আদিবাসী ভোটের একাংশ দ্রৌপদীর পক্ষেই আসবে। বিজেপি কি ক্রস ভোটিংয়ের উদ্যোগ নিচ্ছে? সুকান্ত বলেন, ‘‘তৃণমূলের কত জন দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিলেন সেটা তো পরে জানা যাবে। কিন্তু আমরা নিশ্চিত যে, জনজাতি সম্প্রদায়ের বিধায়কেরা দ্রৌপদীজিকেই সমর্থন করবেন। কারণ, দেশে প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের কৃতী মানুষ রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন।’’ একইসঙ্গে সুকান্তের দাবি, ‘‘শুধু জনজাতি সম্প্রদায়ই নয়, ভোটের পরে দেখা যাবে আরও অনেক তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।’’
প্রসঙ্গত, পাঁচ বছর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও হিসাবের বাইরে ভোট পেয়েছিলেন এনডিএ প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দ। তবে গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ায় বিজেপি কোন দলের ঘর ভেঙে লাভবান হয় তা বোঝা যায়নি। তৃণমূলের কেউ কেউ বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছে বলে জল্পনা তৈরি হয়। তৃণমূল অবশ্য জোরালো ভাবেই দাবি করে, তাদের দলের কেউ ক্রস ভোটিং করেননি। কংগ্রেস বা বাম বিধায়কেরা ওই কাজ করে থাকতে পারেন। একই অভিযোগ ছিল বাম ও কংগ্রেসের। এ বার ক্রস ভোটিং হলে অবশ্য চাপানউতরের বিশেষ সুযোগ থাকবে না। কারণ, বিধানসভায় কংগ্রেস বা বামেদের কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই।