বগটুইয়ের অগ্নিকাণ্ডে ঝলসে যাওয়া বাড়ি। ফাইল চিত্র।
বগটুইকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সদস্যেরা অনেকেই এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়ানো বগটুইয়ের দুই স্বজনহারা ভোটে জিততে পারলেন না। তৃণমূল প্রার্থীদের কাছে তাঁরা পরাজিত হয়েছেন।
বগটুইকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিলেন ডলি বিবি। তাঁর পুত্রবধূ সীমা খাতুন এ বার বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। রামপুরহাট ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির পদে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন সীমা। ওই ব্লকের তৃণমূল প্রার্থীর কাছে তিনি হেরে গিয়েছেন।
বগটুইয়ের ঘটনার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন মিহিলাল শেখ। তাঁর স্ত্রী, মা, কন্যা এবং বোন অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা গিয়েছিলেন। সেই মিহিলালের পরিবার থেকে কয়েক জন এ বছর বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। মিহিলালের দিদি মেরিনা বিবি বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বগটুই গ্রামের বিজেপির প্রার্থী হন। তিনিও তৃণমূলের কাছে পরাজিত হয়েছেন।
বগটুইয়ে গত বছরের ২১ মার্চ তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের রাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল একাধিক বাড়িতে। সেখানে জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১০ জনের। মিহিলাল পরে অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন। পরে রামপুরহাটের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও মিহিলাল বা অভিযুক্ত আনারুলকে চেনেন না বলে জানান আশিস। মিহিলাল কয়েক মাস আগে জানিয়েছিলেন, তিনি প্রাণভয়ে ভীত। তার পর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দিতে যেতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। মিহিলালের পরিবারের বিজেপি প্রার্থীরা ভোটে জিততে পারলেন না।