সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে দিকে দিকে বিজেপির অবরোধ

দুপুর ১টায় ব্যারাকপুরের ওয়ারলেস মোড়ে অবরোধ শুরু হয়। এই মোড়টি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে এবং বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের সংযোগস্থল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৯ ০০:৩৪
Share:

সন্দেশখালিতে দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে বিজেপির সড়ক অবরোধে ধাক্কা খেল জনজীবন। রবিবার অফিস-কাছারি না থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় অবরোধের ফলে ভোগান্তি হল রাস্তায় বেরোনো মানুষজনের।

Advertisement

বারাসত এবং বনগাঁ মহকুমায় দুপুর ১টা থেকে এক ঘণ্টা অবরোধ হলেও ব্যারাকপুর মহকুমায় সকাল থেকেই শুরু হয় অবরোধ। এক জায়গায় অবরোধ শেষ হতে না হতে ফের অন্য জায়গায় অবরোধ শুরু হয়ে যায়। ব্যারাকপুরের মূল দু’টি রাস্তা ঘোষপাড়া রোড এবং কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা রুখে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা।

তবে এ দিন বিজোপির অবরোধ পুলিশ জোর করে তোলার চেষ্টা করেনি। এমনকী, তৃণমূলও কোথাও তাদের বাধাও দেয়নি বা পাল্টা রাস্তায় নামেনি। তবে মহকুমা জুড়ে বিজেপির এমন অবরোধ কর্মসূচির পরে তৃণমূল কর্মী ফের এলাকায় অশান্তির আশঙ্কা করছেন।

Advertisement

এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ শ্যামনগর চৌরঙ্গি মোড়ে ঘোষপাড়া রোডে অবরোধ শুরু হয়। সেখানে অবরোধ শেষ হতে না হতে গৌরীপুর চৌমাথায় পাওয়ার হাউস মোড়ে ফের ঘোষপাড়া রোড অবরোধ শুরু হয়। এরপরে দফায় দফায় ওই এলাকাতেই অরবিন্দ রোড, সাহেব কলোনি মোড়, ৭৩ নম্বর বাস স্ট্যান্ড, রাজেন্দ্রপুরের রামকৃষ্ণ মোড়ে দুপুর ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত অবরোধ চলে। এর ফলে শ্যামনগর থেকে কাঁচরাপাড়া প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ট্রেন থেকে নেমে সড়কপথে গন্তব্যে পৌঁছতে গিয়ে নাকাল হতে হয় বহু যাত্রীকে।

দুপুর ১টায় ব্যারাকপুরের ওয়ারলেস মোড়ে অবরোধ শুরু হয়। এই মোড়টি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে এবং বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের সংযোগস্থল। তার ফলে দু’টি রাস্তার চারদিকে প্রচুর যানবাহন আটকে পড়ে। যাত্রীরা অনুরোধ করলেও অবরোধ ওঠেনি। পুলিশও জোর করে অবরোধ তোলার চেষ্টা করেনি। ঘণ্টাখানেক চলার পরে বিজেপি কর্মীরা অবরোধ তুলে নেন।

দুপুর দেড়টায় গারুলিয়া পিনকল মোড়ে অবরোধ শুরু হয়। একই সময়ে অবরোধ শুরু হয় ব্যারাকপুর- বারাসাত রোডের নীলগঞ্জ মোড়ে। এমনিতেই এই রোড অবরুদ্ধ থাকার ফলে ব্যারাকপুরে ভোগান্তি হয়েছিল যাত্রীদের। এখানে অবরোধ শুরু হওয়ায় বারাসত যাতায়াতের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

দেড়টাতে ভাটপাড়ার কাছারি রোডে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। ২টো নাগাদ ব্যারাকপুরের তালপুকুর মোড়ে বিটি রোড অবরোধ শুরু হয়। তার ফলে কলকাতা থেকে ব্যারাকপুরগামী এবং উল্টো দিকের যানবাহনও আটকে পড়ে। তার ফলে অসংখ্য যাত্রী আটকে পড়েন। বাধ্য হয়ে অনেকে ট্রেন ধরে গন্তব্যে পৌঁছন। পলতার পলতাপাড়া এবং কাঁচরাপাড়ার কাঁপা মোড়ে কল্যাণী রোড অবরোধ করা হয়। বিটি রোড এবং ঘোষপাড়া রোড অবরুদ্ধ থাকায় অনেকেই কল্যাণী রোড ধরেছিলেন। এই অবরোধের ফলে আটকে পড়েন তাঁরাও।

বারাসত এবং বনগাঁয় বিজেপি ঘোষণা করেছিল দুপুর ১টা থেকে এক ঘণ্টা অবরোধ হবে। রবিবার হওয়ায় রাস্তায় যানবাহন অন্যদিনের তুলনায় কম ছিল। কিন্তু যাঁরা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তাঁরা আটকে পড়েন। আটকে পড়ে রুটের বাসগুলি। এ দিন বনগাঁ শহরের বাটার মোড়ে, হাবড়া ১ নম্বর রেল গেটে রাস্তা অবরোধ করা হয়। হাবড়ায় রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। অশোকনগরের বিল্ডিং মোড়েও রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সন্দেশখালির পাশাপাশি এ দিনের অবরোধে স্থানীয় বিষয় নিয়েও সরব হয় বিজেপি। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল কোথাও তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement