সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল করলেন বিজেপিকর্মীরা। গ্রেফতারও হলেন বেশ কয়েক জন। তাদের কাছ থেকে পতাকা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টায় পুলিশ। রবিবার। ছবি: সুমন বল্লভ
সন্দেশখালিতে দুই দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় আজ সোমবার ১২ ঘন্টার বসিরহাট মহকুমায় বনধ ডাকল বিজেপি। আগামী পরশু, বুধবার এই ঘটনার প্রতিবাদেই ‘লালবাজার অভিযান’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার দিনভর কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, পথ অবরোধ করেছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।
সন্দেশখালিতে দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদ গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। রবিবার কলকাতায় দাহ করতে চেয়ে নিহতদের দেহ আনার পথে বাধা পান বিজেপি নেতারা। শেষ পর্যন্ত সন্দেশখালিতে দেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও মিনাখাঁয় দাঁড়িয়ে ঘটনার প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরে সন্ধ্যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘আমরা চাই না, দলের নিহত কর্মীদের কোনও রকম অমর্যাদা, সম্মান হোক। তাই সৎকারের জন্য তাঁদের দেহ সন্দেশখালিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে এই সন্ত্রাস ও খুনের প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি চলবে।’’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপিই নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের পরিবেশ তৈরির ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের একাধিক কর্মী খুন হয়েছেন তাদের হাতে। আমরা রাজনৈতিকভাবেই এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করব। বাকি যা করার প্রশাসন করবে।’’ এদিনই রাজ্য পুলিশ এলাকায় সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে এ দিনই কলকাতা পুলিশ এলাকার থানাগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।
কলকাতায় এ দিন দুপুরে দু’টি বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। মধ্য কলকাতায় দলের রাজ্য দফতর থেকে মিছিল বেরিয়ে তা সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে পৌঁছতেই পুলিশ বাধা দেয়। শাসক দল তৃণমূল ও পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপি সমর্থকেরা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। একই ভাবে দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। বিক্ষোভকারীদের কয়েক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে সরিয়ে দেয়। দুই জায়গা থেকে ৭৯ জন সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছে বিজেপি।
সন্দেশখালির ঘটনার জেরে উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। কোচবিহারের মাথাভাঙা, দিনহাটা, জলপাইগুড়ির মালবাজারে বিজেপির পথ অবরোধে আটকে পড়ে গাড়ি। মালদহে জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জে বিজেপি মিছিল করেছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে দু’টি আলাদা মিছিল করে বিজেপি।
সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে বীরভূমেও একাধিক জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। সিউড়িতে পথ অবরোধ করে প্রতিশোধের হুমকি দেন বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।