BJP

BJP: বিধানসভায় ছুটি হলেও বিধায়কদের ছুটি নয়, আন্দোলনে ঝাঁপাতে নির্দেশ বিজেপি নেতৃত্বের

বিজেপি আগেই জানিয়েছে যে, লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল হলেই আন্দোলনে ঝাঁপাতে চায় দল। আর তাতে বিধায়কদের সামনে রেখেই লড়াই চাইছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২১ ১৪:৫০
Share:

বিধায়কদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী ও শুভেন্দু অধিকারী।

রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শেষ হয়ে গিয়েছে। নিজের নিজের এলাকায় ফিরে গিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু ছুটির মুডে থাকলে চলবে না। আপাতত লকডাউন পরিস্থিতির বিধিনিষেধ মেনেই আন্দোলনে নেমে পড়তে হবে। আর লোকাল ট্রেন চালু হলেই গতি আনতে হবে আন্দোলনে। বিজেপি-র ৭৪ জন বিধায়ককে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে গত শনিবার এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দিয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। বৈঠকে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তবে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন না।

Advertisement

রাজ্য বিজেপি আগেই জানিয়েছে, লকডাউন পরিস্থিতি শিথিল হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে দল। সেটা হলেই গোটা বাংলায় আন্দোলনে ঝাঁপাতে চায় তারা। আর তাতে বিধায়কদের সামনে রেখেই লড়াই চাইছে বিজেপি। এক বিধায়কের কথায়, ‘‘শনিবার রাত ৯টায় আমাদের সবাইকে নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন অমিতাভদা। সেখানেই তিনি সবাইকে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন। একই কথা বলেছেন শুভেন্দুদাও।’’

বিধানসভায় এই প্রথম তুলনায় বড় শক্তি নিয়ে এসেছে বিজেপি। শুধু তা-ই নয়, বিজেপি-ই এখন বিধানসভায় প্রধান ও একমাত্র বিরোধী দল। পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরেই শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, বিধানসভায় যোগ্য বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করবে বিজেপি। তাঁর নেতৃত্বে বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই নানা বিষয়ে ‘সক্রিয় ভূমিকা’ নেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালের ভাষণের সময় বিক্ষোভ দেখানো থেকে পিএসি চেয়ারম্যানের পদ না পাওয়ায় কোনও কমিটির শীর্ষেই না থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া— সব প্রশ্নেই খবরে থেকেছে বিজেপি। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা এবং বিধায়কদের ভূমিকায় দল এখনও পর্যন্ত ‘খুশি’ বলেই বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। এ বার বিধানসভার বাইরেও আন্দোলনে বিধায়কদের সামনের সারিতে দেখতে চায় বিজেপি।

Advertisement

গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, দলের বিধায়কদের নিয়ে এর আগেও বৈঠক করেছেন অমিতাভ ও শুভেন্দু। তবে এর আগের বৈঠকে বিধানসভায় দল কী করবে, সেটাই ছিল আলোচনার বিষয়। শনিবারের বৈঠকেই প্রথমবার আন্দোলনে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে জাল টিকা নিয়ে নিজের নিজের এলাকায় আন্দোলনে নামবেন বিধায়করা। একই সঙ্গে টিকাকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার কথাও সাধারণের মধ্যে তুলে ধরতে হবে। পরে বড় মাপের আন্দোলন হবে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শুরুতে সোমবার জাল টিকা নিয়ে কলকাতায় পুরসভা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। পুরসভা অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ। সেখানেও সব বিধায়ককে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল দল। সেই সময় বিধানসভায় অধিবেশন চলায় বিধায়করা সকলেই কলকাতায় ছিলেন। তবে সেই ঘেরাও কর্মসূচিতে উপস্থিত বিধায়কের সংখ্যা তত বেশি ছিল না। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় তিনিও ওই কর্মসূচিতে ছিলেন না। ওইদিন পূর্ব মেদিনীপুরেরভগবানপুরে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করার কর্মসূচি আগেই ঠিক করা ছিলশুভেন্দুর। তবে সন্ধ্যায় ঘেরাওয়ে অংশ নিয়ে নাটাবাড়ির আহত বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে দেখতে কলকাতায় বিধায়ক আবাসে গিয়েছিলেন শুভেন্দু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement