এত দিন গোয়ার দায়িত্বে ছিলেন সতীশ।
রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে এলেন কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন্দ। বৃহস্পতিবারই তাঁকে বাংলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে নিয়োগ করা হয়েছে। কবে এসে তিনি বাংলায় কাজে যোগ দেবেন, তা জানা না গেলেও রাজ্য বিজেপি এটাকে বড় প্রাপ্তি বলেই মনে করছে।
বিজেপিতে সাধারণ সম্পাদক পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে আবার সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদ সবার উপরে। সেই কারণে বরাবর আরএসএস প্রচারকেরাই এই পদে আসেন। রাজ্যে এখন সেই দায়িত্বে রয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তাঁর সহকারী হিসাবে কিশোর বর্মণ থাকলেও পরে তাঁকে ত্রিপুরা বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সময় থেকে অমিতাভ একাই সংগঠনের কাজ দেখছিলেন। এ বার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিসাবে যোগ দিচ্ছেন সতীশ। তবে কলকাতার পরিবর্তে আসানসোলকে কেন্দ্র করে কাজ করবেন তিনি।
বিজেপির অন্দরে সতীশকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলে মনে করা হয়। আড়ালে থাকলেও চলতি বছরের গোড়ায় হওয়া গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের পিছনে সতীশের বড় ভূমিকা ছিল বলে মনে করে গেরুয়া শিবির। গোয়ায় বিজেপির প্রধান নেতা ছিলেন মনোহর পর্রীকর। দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী পর্রীকরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ছিলেন আরএসএস প্রচারক সতীশ। কিন্তু পরে বিজেপি সতীশকে মহারাষ্ট্রের দায়িত্বে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু ২০১৯ সালে আচমকা পর্রীকরের মৃত্যুর পরে সতীশকে ফিরিয়ে আনা হয় গোয়ায়।
গোয়ার জাতপাতের যে বিভাজন রয়েছে সে বিষয়ে অভিজ্ঞ সতীশই গত বিধানসভা নির্বাচনের মূল পরিকল্পনা করেন বলে জানা যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অত্যন্ত ভরসার সতীশ যে ৪০ আসনের গোয়ায় বিজেপির ক্ষমতা দখলের পিছনে বড় ভূমিকা নিয়েছেন তা বোঝা যায় ফল ঘোষণার পরে। এ বার লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করা বিজেপি সেই সতীশকেই বাংলায় পাঠাল।