ফাইল চিত্র।
চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করার আগেই দলের তরফে ওই ভোটের পরিচালকদের নাম ঠিক করে ফেলল বিজেপি!
খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর এবং দিনহাটা— এই চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর। ওই ভোটের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী শুক্রবার। তৃণমূল ওই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে রবিবার। সোমবার সিপিএমও চার প্রার্থীর নাম জানিয়েছে। কিন্তু এ দিন রাত পর্যন্ত বিজেপি ওই চার কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। তবে দলের তরফে কারা ওই চার কেন্দ্রের লড়াই পরিচালনা করবেন, তা জানিয়ে দিয়েছে এ দিন দুপুরেই। ভবানীপুর, জঙ্গিপুর এবং শমসেরগঞ্জের ভোটের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিতেই চলেছিল বিজেপি।
খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর এবং দিনহাটা— এই চার কেন্দ্রে বিজেপির ভোটের পর্যবেক্ষক হয়েছেন তিন সাংসদ এবং এক মন্ত্রী যথাক্রমে অর্জুন সিংহ, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, জগন্নাথ সরকার এবং নিশীথ প্রামাণিক। ভবানীপুরেও বিজেপির ভোটের দায়িত্বে অর্জুনই ছিলেন। শান্তিপুর এবং দিনহাটায় সহ পর্যবেক্ষক করা হয়েছে অনুপম দত্ত এবং সাংসদ জয়ন্ত রায়কে। খড়দহে প্রচার কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা প্রাক্তন বিধায়ক শীলভদ্র দত্তকে। এ ছাড়া, চার কেন্দ্রে ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির পাঁচ নেতাকে। প্রত্যেক কেন্দ্রে আবার কয়েক জন করে বিধায়ককে ‘কো-ইনচার্জ’ করা হয়েছে।
তৃণমূল শিবিরে অবশ্য এ দিনই জোর কদমে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। খড়দহ এবং দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং উদয়ন গুহ আগামী বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। অন্য দুই প্রার্থীরও সে দিনই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। আজ, মঙ্গলবার থেকেই প্রচারে নেমে পড়বেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তবে পুজোর মধ্যে তাঁরা শুধু জনসংযোগ করবেন। পুজোর পরে ফের প্রচারে ফিরবে দল।
এ দিকে, বিজেপির প্রার্থী ঘোষণার আগে ভোট পরিচালনা কমিটি ঘোষণা নিয়ে কটাক্ষ করেছে শাসক তৃণমূল। যার জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের সাংগঠনিক কাঠামো বোঝার মতো বুদ্ধি তৃণমূলের নেতাদের নেই। এ বিষয়ে তাঁদের আলোচনা না করাই ভাল। আমাদের প্রার্থী খুব তাড়াতাড়ি ঘোষণা হয়ে যাবে।”
অন্য দিকে, ভবানীপুরের উপনির্বাচনের ফলে বিজেপি পর্যুদস্ত হওয়ার পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন সেই ফলকেও দলের পক্ষে ‘ইতিবাচক’ হিসাবে দেখাতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা ভোটে না লড়লে মুখ্যমন্ত্রীকে ১৫ দিন ধরে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতে হত না। আর ভবানীপুরের নির্বাচকমণ্ডলীর ৯০ হাজার ভোটার ভোট দিতে বেরোননি। ২৬ হাজার ভোটার বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। সুতরাং, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে যে সমর্থন করেননি, তা বোঝাই যাচ্ছে।”