তৃণমূল বিধায়কের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, ঘটনাস্থলে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
খেজুরিতে নিজের বিধানসভা এলাকায় গিয়ে দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে আটকে পড়লেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক। র্যাফ এবং কমব্যাট বাহিনী নামিয়ে বিধায়ককে কোনও ক্রমে উদ্ধার করে জেলা পুলিশ।
গত শুক্রবার এবং শনিবার খেজুরির বিভিন্ন এলাকায় ফল প্রকাশ পরবর্তী একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার খেজুরির কুঞ্জপুর এলাকায় বিজেপির লাড্ডু বিতরণ মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
শনিবার এ রকমই কয়েকটি ঘটনার জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। খেজুরি থানা থেকে পুলিশ গেলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। শনিবারের সেই অশান্তির রেশ রয়ে যায় রবিবারও।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রে এনডিএ-র মন্ত্রিসভায় কোনও দিনই যাব না, ঘোষণা করল ক্ষুব্ধ জেডি (ইউ)
এ দিন ঘটনার সূত্রপাত খেজুরির বীরবন্দর এলাকায়। খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল ওই এলাকার কণ্ঠিবাড়িতে যেতে গেলে, রাস্তায় বিধায়কের পথ আটকে দাঁড়ান বিজেপির কয়েকশো কর্মী সমর্থক। তাঁরা বিধায়কের গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের ফল বেরোনর পর থেকেই এলাকায় অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল নেতা-কর্মীরা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন। তাঁদের জোর করা হচ্ছে তৃণমূল করতে।”
বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খেজুরি থানার পুলিশ। কিন্তু প্রথমে তাঁরা পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ব্যর্থ হন। এর পর ঘটনাস্থলে আসে র্যাফ এবং কমব্যাট ফোর্স। বিশাল বাহিনীর সাহায্যে কণ্ঠিবাড়ি এলাকা থেকে বিধায়ককে ঘেরাওমুক্ত করা হয়। এর পর বিধায়ক পাশের হলুদবাড়ি এলাকায়। সেখানেও ঠিক একই ভাবে তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আটকে পড়েন বিধায়ক। ঘেরাওয়ের মুখে বাধ্য হয়েই তিনি ওই এলাকায় না ঢুকে ফিরে যান। অন্যদিকে ততক্ষণে বীরবন্দর এলাকায় রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পুলিশের মধ্যস্থতায় প্রায় এক ঘণ্টা পরে সেই অবরোধ ওঠে।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় কী করেন, মার্কিন ভিসা পেতে এ বার দিতে হবে তারও হিসেব
রঞ্জিতবাবু ওই ঘটনার পর এ দিন বিকালে বলেন, “ওই এলাকায় সিপিএমের সমর্থকরাই বিজেপির পতাকা সামনে রেখে অশান্তি ছড়াচ্ছে।” যদিও বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।